নিজস্ব প্রতিনিধি, পাটনা: প্রথম দিকে স্পিকার পদে ইস্তফা দেবেন না বলে অনড় ছিলেন বিজয় কুমার সিনহা। মহাগঠবন্ধনের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে শেষ পর্যন্ত তিনি স্বপদে ইস্তফা দিয়েছেন।
এদিন রাজ্য বিধানসভায় শাসকদল সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে। তাঁর আগে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়। সভা শুরুর আগে স্পিকার লম্বা-চওড়া বক্তব্য রাখেন। বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবে তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বলা হয়েছে, তিনি সভা পরিচালনা করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। সভা চলে স্বৈরাচারী নীতিতে। তাছাড়া, অনাস্থা প্রস্তাবে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।
তাঁর যুক্তি, সভার কাজ যদি স্বৈরাচারী নীতিতে পরিচালিত হত তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বিধানসভা সচিবালয়ে গৃহীত হত না। গ্রহণ করার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হল বিধানসভা পরিচালিত হয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে।
রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, স্পিকার পদে বিজয় কুমার সিনহা ইস্তফা না দিলে বিহারে তৈরি হত সাংবিধানিক সংকট। আর এই সংকটের জন্য দায়ী থাকতেন খোদ স্পিকার। হাওয়া এখন নীতীশ কুমারের পক্ষে।
তাছাড়া, আস্থাভোটের দিন সকালে বিহারের দুই হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সেটা যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে সেটা বিন্দুমাত্র বুঝতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব। বিধানসভায় স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে শাসক দল পদ্ম শিবিরকে মোক্ষম প্যাঁচে জড়িয়ে ফেলেছে। প্যাঁচ ছাড়াতে গেলে একটাই রাস্তা খোলা ছিল -শাসকদলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়ে স্পিকার পদ থেকে সরে দাঁড়ানো।