নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্লাসে বসেই মনের সুখে গুটখা চিবচ্ছিল একদল ছাত্র। স্বভাবতই ছাত্রদের গুটখা খেতে বারণ করেন নেল্লোরের এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক। পাশাপাশি তিনি গুটখার প্য়াকেট ক্লাসের যত্রতত্র ছড়িয়ে নোংরা না করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এই অপরাধে ওই শিক্ষকের মাথায় ডাস্টবিন উপুর করে দিল ছাত্ররা। সেই সঙ্গে চলল বেদম মারধোর। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিল ওই ছাত্ররা। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। এমনকি ওই ছাত্রদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও তুলেছেন নেটিজেনদের সিংহভাগ।
সূত্রের খবর, কর্নাটকের নেল্লোরের এক সরকারি স্কুলে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে (যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এই মুহুর্তে ডট কম) দেখা যাচ্ছে, এক শিক্ষককে ক্লাস রুমে ঢোকার পর থেকেই তীব্র হেনস্থা শুরু করে পাঁচ ছাত্র। ওই শিক্ষক যখন তাঁর চেয়ারে গিয়ে বসেন তখন এক ছাত্র তাঁকে ডাস্টবিন তুলে মারতে যায়। এরপরই সেই ডাস্টবিনটি শিক্ষকের মাথায় চাপিয়ে দেয়। এবং প্রতিবাদ করতেই শুরু হয়. মারধোর। জানা যাচ্ছে এই ঘটনাটি ৩ নভেম্বরের।
সম্প্রতি কোনওভাবে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এরপরই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি জানাজানি হয়। ওই শিক্ষকের নাম প্রকাশ, তিনি বলেন, গুটখার পাতা ছড়িয়ে রেখে এ ভাবে কখনওই ক্লাসরুম নোংরা করা উচিত নয়। প্রত্যেকের উচিত নিয়ম মেনে চলা। ক্লাসের মধ্যে গুটকা খাওয়া অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। আমি সেটাই ছাত্রদের বুঝিয়েছিলাম। তাঁর দাবি, বকুনি দেওয়ার কারণেই তাঁকে ৫ ছাত্রের হাতে আক্রান্ত হতে হয়েছে। তবে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হননি ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কিন্তু ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে কর্ণাটক শিক্ষা দফতর। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।