নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরে ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন, তা নিয়ে ‘রহস্য’ অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে জরুরি তলব করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ওই তলব পেয়ে সিদ্ধারামাইয়া দিল্লি গেলেও, রাজধানীতে যাননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আর তা নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি দিল্লি যাননি বলে জানিয়েছেন শিব কুমার। সেই সঙ্গে সিদ্ধারামাইয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে কর্নাটকে অপ্রত্যাশিত সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস। আর দলের সেই সাফল্যের মূল নায়ক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। গত দুই বছর ধরে তিনি দলের সেনাপতি হিসেবে যেমন গোটা রাজ্য চরকি পাক খেয়ে বেড়িয়েছেন, তেমনই যোগ্যদের প্রার্থী করেছেন। ফলে প্রার্থী তালিকা নিয়ে এবার তেমন অসন্তোষ লক্ষ্য করা যায়নি। দলকে বিপুল জয় এনে দেওয়ার জন্য ডিকেএসকেই (শিবকুমার এই নামেই বেশি খ্যাত) মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের কাছে পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এগিয়ে সিদ্ধারামাইয়া। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে ইন্দিরা আম্মা ক্যান্টিন-সহ একাধিক জনমুখী পদক্ষেপের জন্য তাঁর প্রশংসায় এখনও পঞ্চমুখ অধিকাংশ কন্নড়বাসী।
আর মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে দুই দাপটে নেতাদের লড়াইয়ে খানিকটা চাপে পড়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কর্নাটকে জয়ী বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছিল সুশীল কুমার সিন্ধে-সহ তিনজনকে। এদিন সন্ধ্যায় দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে রিপোর্ট জমা দেন। দক্ষিণ রাজ্যটিতে মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিতে সন্ধেতেই বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।