নিজস্ব প্রতিনিধি : নির্বাচন মিটলেই টেলিফোন পরিষেবায় গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা এমনটাই আশঙ্কা করেছেন। জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি হতে পারে। এর ফলে সাধারণ মানুষকে টেলিফোন পরিষেবা পেতে আরও কিছুটা অসুবিধা মধ্যে পড়তে হতে পারে। অন্যদিকে এয়ারটেলের মতো টেলিকম কোম্পানিগুলি বেশি উপকৃত হবে।
সম্প্রতি অ্যান্টিক স্টক ব্রোকিংয়ের তরফে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, টেলিফোন পরিষেবায় মাশুল বাড়ানো অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামনেই লোকসভা ভোট। পয়লা জুন লোকসভা ভোট মিটলেই মাশুল বৃদ্ধির পথে হাঁটবে টেলিকম সংস্থাগুলি। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ বার মাশুল বৃদ্ধি হয়েছিল। সেইসময় ২০ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। চলতি বছর ফের মাশুল বৃদ্ধি হতে পারে।
সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, এই মাশুল বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে এয়ারটেলের ভারতী গোষ্ঠী। বর্তমানে প্রত্যেক ব্যবহারকারী পিছু গড় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ যেখানে ২০৮, সেটি ২০২৭ অর্ধবর্ষের শেষে বেড়ে দাঁড়াবে ২৮৬। জানা যাচ্ছে, ৫৫ টাকা মাশুল বৃদ্ধি হতে পারে। পাশাপাশি ২জি থেকে ২জি পরিষেবায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ টাকা, ৪জি-৫জি দুই ক্ষেত্রে ডেটা প্ল্যান অপগ্রেডেশনের জন্য ১৪ টাকা দিতে হবে। অ্যান্টিক স্টক ব্রোকিং সংস্থার মতে, মাশুল বৃদ্ধির ফলে এয়ারটেলের মতো টেলিকম সংস্থায় ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রতি বছর দুই শতাংশ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংস্থার রিপোর্টে দেখা হয়েছে, গত সাড়ে পাঁচ বছরে টেলিকম পরিষেবায় দুটি কোম্পানি সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। একটি হল এয়ারটেল আর অন্যটি হল জিও। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রাহকদের বাজার ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এই দুই সংস্থা। এয়ারটেলের ক্ষেত্রে মার্কেট শেয়ার ২৯.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে জিওয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মার্কেট শেয়ার ২১.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৯.৭ শতাংশ। ফলে মাশুল বাড়লে বড় অংশের গ্রাহক এরফলে প্রভাবিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।