নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: রাজ্যপাল পদে তাঁর ইস্তফা নিয়ে অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনাকে সত্যি করে সোমবার সকালে ইস্তফা দিলেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দরারাজন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। কী কারণে ইস্তফা তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি তামিলিসাই সুন্দরারাজন। তবে সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে লড়ইয়ের ময়দানে নামছেন ৬২ বছর বয়সী পদত্যাগী রাজ্যপাল।
মোদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তেলঙ্গানার দ্বিতীয় রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী তামিলিসাই সুন্দরারাজন। সাংবিধানিক পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তামিলনাডুর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং সহ সভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন। ২০১৩ সালে বিজেপির জাতীয সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তেলঙ্গানার রাজ্যপাল হিসাবে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন তামিলিসাই। তাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ পুদুচেরির ভারপ্রাপ্ত উপরাজ্যপাল হিসাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে নোংরা রাজনীতির খেলা খেলেছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, সাংবিধানিক পদের মর্যাদা ভুলে বিজেপি এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন উপরাজ্যপাল।
তামিলনাডুতে ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছে জয়ললিতার দল এআইএডিএমকে। আর তাতে খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে পদ্ম শিবির। অস্তিত্ববিহীন এবং সাইনবোর্ড সর্বস্ব বেশ কয়েকটি দলকে সঙ্গে নিয়ে জোট বেঁধেছে বিজেপি। রাজ্যের শাসকদল ডিএমকে’র বিকল্প হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই কারণেই লোকসভা ভোটে পোড়খাওয়া নেতা-নেত্রীদের দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। আর লোকসভা ভোটে জিতে কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তামিলিসাই রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।