নিজস্ব প্রতিনিধি : আমেরিকা-ইংল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের মামলার সঙ্গে তুলনা করে কেন এত মামলা গ্রহণ করে এদেশের সুপ্রিম কোর্ট, সেই কারণ ব্যাখ্যা করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এটাই বিচারব্যবস্থার শক্তি। যে কোনও মানুষ আশা করেন যে সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সুরক্ষিত হবে। তাই এত মামলা।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সংবিধান রচিত হওয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টকে এমন একটি জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হত, যেখানে আইনের মাধ্যমে মানুষ-মানুষে সংঘাত, রাজ্যের সঙ্গে মানুষের সংঘাত, রাজ্যগুলির মধ্যে সংঘাত এবং কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের সমাধান করা হবে। যখন সংবিধান রচনা করা হচ্ছিল, যখন সংবিধানের কাঠামো তৈরি করা হচ্ছিল, তখন আদালতের সীমা প্রশস্ত করা হয়েছিল। যাতে মানুষ সহজেই আদালতের কাছে পৌঁছাতে পারেন।’ প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেন, ‘আমাদের সীমা এতটাই প্রশস্ত যে অনেকের ধারণা, আমরা অকার্যকর হয়ে গিয়েছি। প্রচুর মানুষ আদালতের কড়া নাড়ছেন। মামলার পাহাড় জমছে। ফলে মামলার নিষ্পত্তি হতে দেরি হচ্ছে। তাই একাংশ ধারণা হতে পারে, এত পরিসীমা বাড়ানো হয়েছে যে আদালত অকার্যকরী হয়ে উঠছে। অন্যভাবে বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যায় যে এই মামলার মাধ্যমে আমাদের বিচারব্যবস্থার শক্তি ফুটে উঠছে। কারণ যে কেউ আদালতে দ্বারস্থ হতে পারেন। ’
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা কত মামলা সামলে থাকেন, তার উদাহরণও দেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে দেখব যে তারা বছরে ১৮০টি মামলা শোনে। ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ৮৫। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক বিচারপতি প্রতি সোমবার ৭৫-৮০টি মামলার রায়দান করেন। শুক্রবার রায়দান করেন ৭৫-৮০টি মামলার। মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার গড়ে ৩০-৪০টি মামলার রায়দান হয়। সেটা থেকেই বোঝা যাবে যে, সুপ্রিম কোর্টের ব্যাপ্তি কতটা।’