নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সম্প্রতি আলোড়ন ফেলেছে দেশজুড়ে। গ্রেফতার হয়েছিলেন এক অভিযুক্ত অটোচালক। এবার এই অটোচালকের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধভাবে ওই স্থানে তাঁরা বসবাস করছিল বলেই অভিযোগ।
উজ্জয়িনী মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তরফে জানানো হয়েছে , ওই অভিযুক্ত অটো চালক ভরত সোনির পরিবার বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি জমিতে বাড়িতে বসবাস করছে। জমিটি সরকারি মালিকানাধীন। তাই বাড়ি ভাঙার জন্য কোনও নোটিশের প্রয়োজন নেই। বুধবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় এই বাড়ি ভাঙার ব্যবস্থা নেবে পুরসভা।
উল্লেখ্য, অমানবিক বাস্তবতা দেখিয়েছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী শহরের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা। ১২ বছরের নাবালিকা রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন অবস্থায় দ্বারে দ্বারে সাহায্যের ভিক্ষা চেয়েছে। অথচ তথাকথিত শিক্ষিত ভদ্র সমাজ এগিয়ে আসেনি। এই ঘটনায় এক অটো চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা খেরি এলাকায় একটি অটোতে উঠেছিল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অটো চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অটোয় রক্তের দাগ মিলেছে। ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠায় পুলিশ। ঘটনায় পুলিশের জালে ৪।
১২ বছর বয়সী নাবালিকা রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটি সাহায্যের আবেদন করে। আব্রু ঢাকতে সম্বল ছিল শুধু ছেঁড়া একটি কাপড়ের টুকরো। নাবালিকা প্রায় ৮ কিমি হেঁটে দরজায় দরজায় সাহায্য প্রার্থনা করেছে। অবশেষে স্থানীয় এক পুরোহিত এগিয়ে আসেন। উজ্জয়ন থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বদনগর রোডে একটি আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত ওই পুরোহিত রাহুল শর্মা। পুরোহিত বলেন, “ সোমবার সকাল ৯.৩০টার সময় ওকে যখন প্রথম দেখি, তখন খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। তাঁকে জামাকাপড় দিই। মেয়েটি যখন সাহায্যের জন্য ঘুরছিল অন্যরা তাঁকে আরও হেনস্তা করছিল। মেয়েটি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। দুচোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়ছিল”।
ওই পুরোহিত আরও জানান যে, নাবালিকার নাম ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করেন। যখনই অন্য কেউ তাঁর কাছে আসছিল মেয়েটি ভয়ে লুকোনোর চেষ্টা করছিল। শেষে মহাকাল থানায় যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে জানান। তারপর পুলিশ নাবালিকাকে নিয়ে যায়।
উজ্জয়িনীকাণ্ডে অভিযুক্তের বাবা অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কামনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি তাঁর ছেলে সত্যিই এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তবে তাঁরও বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই।