নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি ও ইটানগর: অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে চিনের লাল সেনার আচমকা অনুপ্রবেশের জেরে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেখানে পাঠিয়ে দিল যুদ্ধবিমান। সেনা সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর দিয়েছে। জানা গিয়েছে, সংসদে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়ার আগেই অরুণাচলের তাওয়াং-য়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যুদ্ধবিমান। তবে কয়টি বিমান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ওপর চক্কর কাটছে, সে ব্যাপারে সেনাবাহিনী সবিস্তারে কিছু জানায়নি।
সেনাসূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লাল সেনার এই আগ্রাসন দীর্ঘ কয়েক মাসের পরিকল্পনার ফসল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই চিনের ইয়াংতসের কাছে বেশ কয়েকটি কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে। বেজিংকে জবাব দিতে সেখানে সুখোই যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ৯ ডিসেম্বর চিনের লাল সেনা সীমান্ত পেরিয়ে অরুণাচলের তাওয়াংয়ের ইয়াংস্তে এলাকায় প্রবেশ করে। সীমান্তে কর্তব্যরত ভারতীয় সেনার জবাবে পিপলস লিবারেশন আর্মি পিছু হঠতে বাধ্য হয়। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদে এই নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন। যদিও রাজনাথ সিংয়ের বিবৃতি দেওয়ার সময় বিরোধীদলের কেউ সংসদে ছিলেন না। বিরোধী শিবির বিবৃতি দেওয়ার দাবি তোলে। স্পিকার সেই দাবি মানতে অস্বীকার করেন। স্পিকার বলেন, প্রথমে রাজনাথ সিং বিবৃতি দেবেন। পরে, এই নিয়ে কারও কিছু বলার থাকলে তিনি বলতে পারেন। স্পিকারের জবাবে অসন্তুষ্ট হয়ে বিরোধীরা সভা ওয়াক আউট করেন।