নিজস্ব প্রতিনিধি : আগ্রায় একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন জন সদস্যের দেহ উদ্ধারের ঘটনা সামনে এল। এরা তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তবে কী কারণে তাঁরা এই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন, সেবিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি পুলিশ।
প্রতিবেশিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এদিন সকালে আগ্রা থানার পুলিশ প্রথমে ওই বাড়িটিতে যায়। বাড়িটি তরুণ ওরফে জলিদের বাড়ি বলে পরিচিত। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে যখন বাড়ির পরিচারিকা তরুণদের বাড়িতে যায়, তখন বাইরে থেকে ডাকাডাকির পরও ভিতর থেকে কেউ সাড়াশব্দ দিচ্ছিল না। এতেই পরিচারিকার কিছুটা সন্দেহ হয়। বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানাতেই তাঁরা তা পুলিশকে জানায়। পুলিশ যখন বাড়িতে পৌঁছোয়, তখন বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই তরুণকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পাশাপাশি তরুণের মা ও তরুণের ১২ বছরের ছেলের নিথর দেহকে আরেকটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে একটি ভিডিও এসেছে। ভিডিওটি কয়েকমাস আগে তোলা। ভিডিওটির সূত্র ধরেই তিনজনের আত্মহত্যার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। পুলিশ এক ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন থেকে এই ফোন নম্বরটি পায়। ভিডিওটিতে তরুণ জানিয়েছে, ব্যবসার কারণেই তাঁকে বাইরে থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নিতে হয়েছে। ঋণ নিতে নিতে সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বাজারে বিশাল পরিমাণ টাকা ঋণ হওয়ার কারণেই খুবই চিন্তায় ছিল তরুণ। সেইকারণে নিজেকে ও তাঁর পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।