নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস। পুজোর মরশুমেও আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। বিজেপি গুণ্ডা বাহিনীর হাতেই মার খাচ্ছে তৃণমূলের কর্মীরা। ঘাসফুল শিবিরের তরফে প্রত্যেকটি আক্রমণের পিছনে থানায় এফআইআর বা অভিযোগ করলেও কিছুই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না ত্রিপুরা পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে অর্থাৎ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন ত্রিপুরার খোয়াই জেলার জাম্বুরা গ্রামে সুশীল মোদকের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। একইভাবে গতকাল বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনীরা হামলা চালিয়েছে খয়েরপুরের বনিক্ক চৌমুহনীতে দুলাল দসের বাড়িতেও। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তাঁর দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট চালানো হয়েছে। পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের দোষ, সকলেই তৃণমূলের কর্মী কিংবা সমর্থক।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাসপাতাল ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। একুশে জুলাই-এর পর থেকেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধিতে শঙ্কিত বিপ্লব দেবের সরকার। তাই বারবার আক্রমণ শানানো হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের উপর। কখনও গুণ্ডা বাহিনী আবার কখনও পুলিশের মাধ্যমে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। এই ঘটনায় বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিন্দা করলেও হুঁশ নেই ত্রিপুরা বিজেপির। এর আগে দুর্গাপুজোতে আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মী ও নেতারা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, ‘ত্রিপুরায় চম্বলের রাজত্ব চলছে। এখানে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। পুলিশ-প্রশাসন দলদাসে পরিনত হয়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস করার অপরাধে প্রায় রোজই দলের কোনও না কোনও নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলা হচ্ছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তবে এসব করে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না। ২০২৩ এ বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার মানুষ এর জবাব দেবে।’