এই মুহূর্তে




নাটকীয় মোড়! দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাংলো থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি, দাবি দমকলের




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রুদ্ধশ্বাসে ভরা হিন্দি ছবিকেও হার মানাচ্ছে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাংলা থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের ঘটনা। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল থেকেই যে খবর প্রচারের জেরে গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল, সন্ধ্যায় সেই খবরের সত্যতা-ই বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। কেননা, দিল্লির দমকল সেবার প্রধান অতুল গর্গ জানিয়েছেন, ‘দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল কর্মীরা কোনও টাকাই উদ্ধার করেননি।’ তাহলে প্রশ্ন উঠল-কারা রটাল টাকা উদ্ধারের কাহিনি? এর পিছনে কী বড় রহস্য রয়েছে?  

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। হোলির সময়ে বিচারপতি বর্মার দিল্লির বাংলোয় আগুন লেগেছিল। সেই সময় অবশ্য বাড়িতে বিচারপতি কিংবা তাঁর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন না। আগুন নেভাতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় দমকল কর্মীদের। বাড়ির বিভিন্ন আংশ থেকে রাশি-রাশি টাকার খোঁজ মেলে। দমকলের তরফে বিষয়টি জানানো হয় দিল্লি পুলিশকে। আর দিল্লি পুলিশের তরফে সুপ্রিম কোর্টের গোচরে আনা হয় বিষয়টি। এক কর্মরত বিচারপতির বাড়ি থেকে রাশি-রাশি টাকা উদ্ধারের পিছনে যে ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’ তা নিয়ে কোনও সন্দেহ হয়নি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার। গতকাল বৃহস্পতিবারই (২০ মার্চ) তিনি সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের জরুরি বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকেই অভিযুক্ত বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করার সিদ্ধান্ত হয়। শুধু তাই নয়, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায়কেও এ বিষয়ে শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

কর্মরত বিচারপতির বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা। যদিও বিচারপতি বর্মাকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট কোনও আস্তাকুঁড়ে নয়। অভিযুক্ত এবং কলঙ্কিত কোনও বিচারপতিকে মেনে নেওয়া হবে না।’

গোটা দিন যখন বিচারপতি বর্মার বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলছে, তার মাঝেই মুখ খুলেছেন দিল্লির দমকল বিভাগের প্রধান অতুল গর্গ। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘গত ১৪ মার্চ রাত ১১টা বেজে ৩৫ মিনিটে লুটিয়েন্স দিল্লিতে অবস্থিত বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাংলোতে আগুন লাগার খবর পৌঁছয় দমকলের কাছে। ওই খবর পেয়েই দমকলের দুটি ইঞ্জিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ১১টা বেজে ৪৩ মিনিটে বিচারপতি বর্মার বাড়িতে পৌঁছন দমকল কর্মীরা। তারা দেকতে পান বাংলোর একটি স্টোর রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কাগজপত্র সহ ঘরোয়া সরঞ্জাম ছিল। ১৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন লাগার বিষয়টি দিল্লি পুলিশকে জানিয়ে দমকল কর্মীরা চলে আসেন। টাকার পাহাড় উদ্ধার তো দূর, তাঁরা কোনও নগদ টাকাই উদ্ধার করেননি।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২২ ঘণ্টা হেঁটে বৈসরনে পৌঁছেছিল জঙ্গিরা, তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য

পহেলগাঁওকাণ্ড: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছেদের ঘোষণা ব্যবসায়ী সংগঠনের

স্কুল ভ্যানে ৪ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন, অভিযুক্ত চালক গ্রেফতার

ভারত ছাড়ার ধুম, কেন্দ্রের দাওয়াইয়ে হাজার হাজার লোক ফিরছেন পাকিস্তানে

ফাঁকা আসন নিয়ে শ্রীনগর যাচ্ছে বিমান, সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভূস্বর্গের ছবি পোস্ট করলেন অতুল

শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি, রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে সেনাবাহিনীর তিন শাখার সর্বাধিনায়ক

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর