নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিশঙ্কু মেঘালয়ে(Meghalaya) সরকার গঠনের খালায় বড়সড় চমক। সেখানে সরকার গঠনের খেলা শুরু করে দিল বিরোধী দলগুলি। ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচনে বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছিল কনরাড সাংমার(Conrad Sangma) NPP। তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা ২৬। সেই অর্থে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিগ ফিগার ৩১জন বিধায়ক তাঁদের কাছে ছিল না। সেই কারণেই কনরাড BJP’র সমর্থন চান ও তা দিতে রাজিও হয় গেরুয়া শিবির। এরপরেই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকালে কনরাড রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে ৩২জন বিধায়কের লিখিত সমর্থন জানানো চিঠি তুলে দিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানান। সেই চিঠিতে কনরাড নিজের দলের ২৬জন বিধায়ক ছাড়াও BJP’র ২জন বিধায়ক, HSPDP’র ২জন বিধায়ক এবং ২জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরেন। তার জেরে ঠিক হয়েছিল, ৭ মার্চ মেঘালয়ের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন কনরাড। কিন্তু তার পর থেকেই দ্রুত বদলাতে থাকে মেঘ রাজ্যের রাজনৈতিক চিত্রপট।
আরও পড়ুন সাগরদিঘীতে কেন জমানত বাজেয়াপ্ত, বঙ্গ বিজেপিকে প্রশ্ন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
শুক্রবার বিকালে মেঘালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসা UDP বৈঠকে ডাকে NPP ও BJP বাদে বাকি সব দলের বিধায়কদের ও নির্দল বিধায়কদেরও। সেই বৈঠকে UDP’র ১১জন বিধায়ক ছাড়াও ছিলেন কংগ্রেস বা INC’র ৫জন বিধায়ক, TMC বা তৃণমূলের ৫জন বিধায়ক, VPP’র ৪জন বিধায়ক ও PDF’র ২জন বিধায়কও। কিন্তু সব থেকে বড় চমক ছিল কনরাড যে HSPDP’র ২জন বিধায়ক এবং ২জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন সেই ৪জন বিধায়কও ওই বৈঠকে হাজির হন। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, কনরাড-বিজেপি জোটকে তাঁরা রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না। পরিবর্তে UDP’র নেতৃত্বে তাঁরা রাজ্যে সরকার গঠন করবেন। আর এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে কনরাডের ফেরার সম্ভাবনা। কংগ্রেস-তৃণমূল শিবির জোট নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, তাদের দাবি দিনের শেষে সরকার গঠন করবে তাঁরাই।