এই মুহূর্তে




‘লালকেল্লার বিস্ফোরণ সন্ত্রাসবাদীদেরই কাজ’, ৪৮ ঘন্টা বাদে স্বীকার করে নিল কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লালকেল্লার বিস্ফোরণ সন্ত্রাসবাদীরাই ঘটিয়েছে বলে ৪৮ ঘন্টা বাদে স্বীকার করে নিল মোদি সরকার। বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর পৌরাহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক বসেছিল। ওই বৈঠকে জানানো হয়েছে, ‘দিল্লিতে সন্ত্রাসবাদীরাই হামলা চালিয়েছিল।’ সেই সঙ্গে বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাতে দুই মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, ‘একটি শিশুও যখন জেনে গিয়েছে দিল্লিতে বিস্ফোরণের পিছনে জঙ্গিরা রয়েছে, সেখানে লালকেল্লার বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদীদের কাজ হিসাবে ঘোষণা করতে কেন ৪৮ ঘন্টা সময় লাগল কেন্দ্রীয় সরকারের?’

গত সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধে ছয়টা বেজে ৫২ মিনিটে পুরনো দিল্লির ব্যস্তবহুল এলাকা লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটে। ওই গাড়ি বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে খানিকটা দূরে অবস্থিত লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটও আগুনে পুড়ে যায়। ওই সময় সড়ক দিয়ে যাওয়া কমপক্ষে কুড়িটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যান কমপক্ষে ১২ জন। আহত হন আরও ৩০ জনের মতো। ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরেই জল্পনা শুরু হয়, ফের কি জঙ্গিরা হামলা চালাল? যদিও দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা বিস্ফোরণের পিছনে জঙ্গিদের হাত থাকার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চাননি। ঘটনার পরে সাংবাদিকদের তিনি আওড়ে গিয়েছিলেন, ‘লালকেল্লার বিস্ফোরণ সামান্য ঘটনা নয়।’

খোদ অমিত শাহের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ব্যাপক ক্ষোভ জন্মে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে (এনআইএ) বিস্ফোরণের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা উমর মুহাম্মদ নবিই হুন্ডাইয়ের আই২০ মডেলের একটি গাড়ির মাধ্যমে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। নবির নামে নথিভুক্ত থাকা ফোর্ডের লাল রংয়ের একটি ইকোস্পোর্ট এসইউভি এদিনই হরিয়ানার ফরিদাবাদের খন্দাবলিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। ভূটান সফর সেরে রাজধানীতে ফিরেই এদিন লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের জন্য কাঠগড়ায় তোলা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন।

তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে লালকেল্লার বিস্ফোরণ সন্ত্রাসবাদীদের কাজ হিসাবে জানানো হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘লালকেল্লার বিস্ফোরণে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এই কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে সমস্ত রকমের সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন সরকারের সংহতি ও সমর্থনের বিবৃতির জন্য মন্ত্রিসভা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভিএইচপি নেতার গ্রেফতারি, চাপের মুখে প্রশাসন? রাতারাতি বদলি করা হল ‘লেডি সিংহম’ ADM ঋতুকে

CPIM-র ৬ কর্মীকে অপহরণ ও খুনে ৪৫জনকে যাবজ্জীবন

তীব্রতা ছিল ভয়ানক, লালকেল্লায় বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে দোকানের ছাদে উদ্ধার কাটা হাত

দিল্লিতে ফের বিস্ফোরণ, ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন

ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পরিকল্পনা ছিল ছয় বিস্ফোরণের, বাবরি ধ্বংসের প্রতিশোধ নিতেই বেছে নেওয়া হয় তারিখ

পরিবারের সঙ্গে ১০০ শতাংশ মিলেছে DNA, লালকেল্লায় বিস্ফোরণ ঘটানো গাড়িতে ছিলেন চিকিৎসক উমরই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ