নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: ১৯৯৭ সালে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে বিষাক্ত আটার রুটি খেয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ২৫ বছর পর দু’জন অভিযুক্তকে উত্তরপ্রদেশের আলাদত দোষী সাব্যস্ত করে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দু’জনকে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে রোজা থানার এলাকায় একটি দোকান থেকে স্থানীয় ইটভাটার শ্রমিক ও স্থানীয় মানুষরা আটা কেনে। সেই আটা থেকে হওয়া রুটি খেয়ে সকলের তীব্র পেটে ব্যথা শুরু করে। সকলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ছিল। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই ঘটনায় আইনি লড়াই চলে। আদালত অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি রাকেশ কুমার ও সত্যনারায়ণ আগরওয়ালকে দোষী সাব্যস্ত করে। দুই জনের দোকান থেকে মৃতরা রুটি কিনেছিলেন। তাঁদের যাবজ্জীনের রায় দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, ২৩ বছর পুরনো একটা মামলার সাজা ঘোষণা করল আদালত। উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে ভেজাল দুধ বিক্রেতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শোনাল আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনাটি ১৯৯৯ সালের ১৭মে। তৎকালীন খাদ্য পরিদর্শক এমএল গুপ্তা গেট কলোনির কাছে একটি দোকানে দুধের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সেই নমুনায় মারাত্মক ভেজাল পাওয়া যায়। এরপরেই চক থানায় খাজুরিয়ার বাসিন্দা রামসাজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।২৩ বছর ধরে মামলাটি বিচারাধীন ছিল।অবশেষে মিলল বিচার। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। ২০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত।