নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: উদ্ধার হয়েছে সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টারের ব্ল্যাকবক্স। প্রশ্ন হল, যে কোনও উড়ান দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজের পাশাপাশি কেন খোঁজ চলে ব্ল্যাকবক্সের? অনেকের ধারণা, নাম ব্ল্যাকবক্স হওয়ায় এটি দেখতে কালো কুচকুচে। আকারেও বাক্সের মতন।
দুটির একটিও সঠিক নয়। ব্ল্যাকবক্স আসলে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং এটি দেখতে অনেকটা জুতোর মতন। পাইলটের সঙ্গে কথাবার্তা ও উড়ানের যাবতীয় তথ্য এখানে মজুত থাকে। দুর্ঘটনার আগে বিমানটি কোন অবস্থায় ছিল, পাইলট শেষ মুহূর্তে কারও সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন কি না, বলে থাকলে সেটা কী ধরনের কথা, যাবতীয় তথ্য এই ব্ল্যাকবক্স থেকেই জানা সম্ভব। এই ব্ল্যাকবক্সের পাশাপাশি থাকে আরও একটি বক্স, যা হোয়াইট বক্স নামে পরিচিত। এটা ক্লিয়ারবক্স বা গ্লাসবক্স নামেও পরিচিত।
যে কোনও ধরনের উড়ানের ক্ষেত্রে দু ধরনের ডেটা রেকর্ডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার হিসেবে পরিচিত, দ্বিতীয়টি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারে সংশ্লিষ্ট উড়ানের সাম্প্রতি তথ্য মজুত থাকে। দ্বিতীয় অর্থাৎ ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে রেকর্ড হতে থাকে ককপিটে সব ধরনের তথ্য বা শব্দ। পাইলটের সঙ্গে এয়ারট্রাফিক কন্ট্রোল বা অন্যান্য কারও সঙ্গে কথাবার্তা জমা হতে থাকে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে। দুটি মিলিয়ে তৈরি হয় ব্ল্যাকবক্স।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বুধবার দুপুরে কপ্টার দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজের পাশাপাশি শুরু হয় ব্ল্যাকবক্সের সন্ধান। দুর্ঘটনাস্থলের ৩০০ কিলোমিটার পরিধির মধ্যে এর কোনও সন্ধান না পাওয়ায় তল্লাশির পরিধি আরও এক কিলোমিটার বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারের ব্ল্যাকবক্স।