নিজস্ব প্রতিনিধি: এই মুহূর্তে বসন্তের একেবারে মাঝামাঝি পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা। আর কিছুদিন পরেই গ্রীষ্মের প্রবেশ। যদিও ইতিমধ্যেই সূর্য্যের প্রখর তাপে জেরবার গোটা দেশ। শোনা যাচ্ছে, মার্চ থেকেই প্রখর গরমের দাবদাহ শুরু। আর বসন্ত মানেই রঙের উৎসব। চারিদিকে রঙে রঙে সাজবেন গোটা জাতি। হ্যাঁ, আগামী ৭ মার্চ রাজ্যজুড়ে পালিত হবে দোলউৎসব আর ৮ মার্চ দেশজুড়ে পালিত হবে হোলি। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে রঙের উৎসবে গা ভাসিয়ে দিতে প্রস্তুত দেশবাসী। বিশ্বায়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রেম, জীবন এবং রঙের সৌন্দর্যে বিশ্বাসী সকলের কাছেই হোলি উৎসব গোপালের উৎসব। যুগ যুগ ধরে রঙের উৎসব পালিত হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে। আমাদের পাশাপাশি নতুন নতুন প্রজন্মের সঙ্গেও আলাপ হচ্ছে রঙের উৎসবের। বিভিন্ন ফ্যাস্টিভ্যালকে ঘিরে একাধিক সিনেমাও তৈরি হয়েছে বলিউডে। যেখানে হোলি উৎসবও ব্যতিক্রম নয়। সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে বহু রঙের গান। শুধু আজ নয়, বলিউড বহু দশক ধরেই চিরসবুজ হোলি গান তৈরি করে আসছে, যা গোটা শুধু দেশকেই নয় গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করে আসছে। অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, হৃতিক রোশন এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বলিউডের প্রতিটি সেলিব্রিটি হোলির গানে দেশবাসীকে মাতিয়েছেন। আজ জানাবো বলিউডের কিছু শ্রেষ্ঠ হোলির গান। যাতে আপনিও আপনার পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গে হোলির দিনে গা ভাসান।
রং বারসে (সিলসিলা-১৯৮১)
যশ চোপড়ার রোমান্টিক-মেলোড্রামার হোলি ট্র্যাকটি মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের কণ্ঠে নির্মিত। গানটির সুর করেছেন শিব-হরি, গানটি লিখেছেন, বিগ বি-এর প্রয়াত বাবা অর্থাৎ কিংবদন্তি কবি হরিবংশ রাই বচ্চন। গানটিতে আরও রয়েছেন রেখা, সঞ্জীব কুমার এবং জয়া বচ্চন।
Gori Tu Latth Mar (টয়লেট: এক প্রেম কথা-২০১৭)
অক্ষয় কুমার-ভূমি পেডনেকারের ছবির এই গানটিও জাতির কাছে বেশ প্রচলিত। সোনু নিগম এবং পলক মুছাল গিয়েছিলেন গানটি।
হোরি খেলে রঘুবেরা (বাগবান-২০০৩)
অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনী, পরেশ রাওয়াল, লিলেট দুবে এবং অন্যান্যদের সমন্বিত গানটি গেয়েছেন বিগ বি। এই গানটিও একটি আইকনিক হোলি গান। সঙ্গীতটি প্রয়াত আদেশ শ্রীবাস্তব দ্বারা সুর করা হয়েছে, এবং গানের কথা লিখেছেন সমীর।
গো পাগল (জলি এলএলবি 2-২০১৭)
অক্ষয় কুমার এবং হুমা কুরেশির উপর চিত্রিত গানটি জলি এলএলবি-র একটি বিখ্যাত আইকনিক গান। যা ভারতীয় মধ্যবিত্তদের মধ্যে হোলির উন্মাদনা এবং আনন্দ দেখায়।
হোলি কে দিন (শোলে-১৯৭৫)
রমেশ সিপ্পির অ্যাকশন-ড্রামার গানটিতে অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী অভিনয় করছেন। গানটি হোলির শ্রেষ্ঠ গান। গানটির সুর করেছিলেন আর ডি বর্মণ এবং গান লিখেছেন আনন্দ বক্সী। এটি কিংবদন্তি – কিশোর কুমার এবং লতা মঙ্গেশকর দ্বারা গাওয়া চিরসবুজ হোলি ট্র্যাকগুলির মধ্যে একটি৷
হোলি আয় রে কানহাই (মাদার ইন্ডিয়া-১৯৫৭)
কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর এবং শামশাদ বেগমের গাওয়া ট্র্যাকটি হিন্দি সিনেমার অন্যতম হোলির আইকনিক গান। রাজ কুমার এবং সুনীল দত্তের উপর নির্মিত গানটিতে নার্গিস দত্তও অভিনয় করেছেন। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মহান উস্তাদ নওশাদ, গানটি লিখেছেন শাকিল বদায়ুনী। গানটি হোলির সময় বৃন্দাবনে ভগবান কৃষ্ণের আনন্দময় মোড বর্ণনা করে। হোলি আয় রে কানহাই, মাদার ইন্ডিয়া (1957) এর অন্যতম স্মরণীয় গান।
জয় জয় শিবশঙ্কর (যুদ্ধ-২০১৯)
হৃতিক রোশন এবং টাইগার শ্রফের সমন্বিত গানটি হোলির অন্যতম হিট গান। ওয়েস্টার্ন বীট এবং নাচের মুভের সঙ্গে দেশি রঙের মিশ্রণ উৎসবের জন্য গানটি নিখুঁত ফিউশন।
আরে জা রে হাত নাটখত (নবরাং-১৯৫৯)
ভি শান্তরামের নাভারং-এর গানটি শিল্প ও উৎসবকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। এটি একটি থিয়েট্রিকাল মোডে শ্যুট করা হয়েছে। গানটির সুর করেছেন সি রামচন্দ্র, আর গানের কথা লিখেছেন ভারত ব্যাস।
বালম পিচকারি (ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি-২০১৩)
রণবীর কাপুর এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত এই গানটি তরুণ প্রজন্মের হোলি উদযাপনের একটি শ্রেষ্ঠ গান। গানটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম, গানের কথা লিখেছেন অমিতাভ ভট্টাচার্য। বিশাল দাদলানি এবং শালমালি খোলগাদের হোলি ডুয়েট অয়ন মুখার্জির পরিচালনায় ‘ জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-র সবচেয়ে প্রিয় গানগুলির মধ্যে একটি।
আজ না ছেড়েঙ্গে (কাটি পাতং-১৯৭১)
শক্তি সামন্তের রোমান্টিক মিউজিক্যাল-ড্রামা এই হোলি ট্র্যাকটি এখনও সিনেমাপ্রেমীদের প্রিয় গানগুলির মধ্যে একটি। প্রথম সুপারস্টার রাজেশ খান্না এবং প্রবীণ অভিনেতা আশা পারেখের উপর চিত্রিত করা হয়েছে গানটি।
ডু মি এ ফেভার (ওয়াক্ত: দ্য রেস এগেইনস্ট টাইম-২০০৫)
বিপুল অমৃত শাহের পারিবারিক চলচ্চিত্রে অক্ষয় কুমার এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার উপর চিত্রায়িত করা হয়েছে। গানটি ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে সবচেয়ে মজাদার হোলি ট্র্যাকগুলির মধ্যে একটি ছিল।