এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘পুজো আমার নার্ভের সঙ্গে যুক্ত, তাই কলকাতাতেই থাকবো’- অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অভিনেতা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। তবে পর্দায় যাই হোক না কেন বাস্তব জীবনে ভীষণভাবে বাঙালি এই অভিনেতা পুজো নিয়ে ভীষণ স্পর্শকাতর। বাঙালির পুজোয় আসল গন্ধটা ধীরে ধীরে যে পাল্টে গিয়ে ‘বঙ্গালি’ পুজোতে পরিণত হচ্ছে সেই আশঙ্কা ও আক্ষেপ প্রকাশ করলেন অভিনেতা। সঙ্গে ভাগ করলেন এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর পুজোর নস্টালজিয়া। 

এক সময় কলকাতায় নিজের বাড়িতেই পুজো করতেন এখন বহু কাজের মধ্যে তা হয়ে ওঠে না। বাড়ির পুজো তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিন্তু তা না থাকলেও কলকাতাতেই থাকবেন অভিনেতা। এর একমাত্র কারণ, তিনি কলকাতার মানুষ, বড় হয়েছেন কলকাতার বুকে যাদবপুরের মত জায়গায়। আর তাই  পুজোটা তাঁর নার্ভের সঙ্গে যুক্ত। সেই কারণেই তাঁর পুজোয় কলকাতা ছেড়ে বিদেশ ভ্রমণ বা অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনায় নৈব নৈব চ।  

এবছর কাজের চাপ মারাত্বক অভিনেতার। বিভিন্ন প্রজেক্টের পাশাপাশি রয়েছে নিজস্ব কাজও। তাই পরিবারকে আর সেভাবে সময় দিয়ে উঠতে পারেননি। বলা চলে অভিনেতাদের জীবনটাই তাই। আর সেই কারণেই পুজোর এই চারদিনের ছুটিটা পুরোদমে পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ত্রী, কন্যা ও পরিবারের বাকিদের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়ে না উঠলেও ‘পরিবার’ শব্দটার সঙ্গে রয়েছে তাঁর আত্মিক যোগ। আর পুজোর সঙ্গে সেই পরিবারের একটা ভীষণরকম যোগাযোগ রয়েছে। বারোয়ারি পুজোগুলোতে তাই এক একটা পাড়া ঐ চারদিন পরিবার হয়ে ওঠে। 

স্মৃতির পাতা থেকে অনিন্দ্য জানান, ‘জীবন যখন এতটাও ক্ষিপ্র হয়নি তখন পাড়ার সকলে মিলে একসাথে ঠাকুর দেখতে বেরোতেন। তখন দেখতাম তাঁদের মধ্যে আত্মীয়তা ভীষণ। ঐ ভিড়ে অন্যের সন্তানকে নিজের দায়িত্বে সামলে সবাই মিলে ঠাকুর দেখতেন। সেইসব আর এখন নেই। এখন পরিবারের অর্থটাই পাল্টে গিয়েছে। এখন পরিবারের সংজ্ঞা আমাদের কাছে তিনটে মানুষের সংসার।   পরবর্তী প্রজন্ম আর সেসব দেখতে পাবে না।’ আক্ষেপের সুর অভিনেতার গলায়। আর তাই তাঁর কাছে পুজোর মানে সব ভাইবোনেরা এক হওয়া, খাওয়াদাওয়া হইহুল্লোড়।

তবে ছেলেবেলার পুজোর স্মৃতির পাতায় আরও তাঁর যা যা টাটকা হয়ে রয়েছে তা হল বাঁধনছাড়া হওয়া, পুজো প্রেম, আর মা বাবার থেকে পাওয়া পুজোর ছাড়। পুজো মানেই টিনএজার অনিন্দ্যর মনে তখন শরৎের আবহে বসন্তের হাওয়া। পুজো এলেই প্রেম আসতে বাধ্য তখন তাঁর। এখনকার ভাষায় তাঁর পুজোক্রাশের অভাব হত না। বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেসবেও পরিবর্তন এসেছে। অভিনেতার পাশাপাশি তিনি এখন একজন দায়িত্ববান স্বামী ও বাবা।

পুজো, ধার্মিকতা এগুলো নিয়ে কখনই বেশি ভাবেননা অনিন্দ্য। অল্পবয়সে তা আরও ছিল না। সেই বয়সটায় আরও বেশি বাঁধনছাড়া হওয়া জেত। সন্ধ্যা ৬ টায় বাড়ি ঢোকার নিয়ম বদলে জেত তখন। ছাড় পেতেন রাত ৯টা অবধি। এখন বাচ্ছাদের পুজোটা প্রযুক্তির ঘেরাটোপে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাই তারা এখন সবকিছুতেই দ্রুত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। রবীন্দ্রনাথের কবিতা বা রামপ্রসাদের গান থেকেও যে জীবনদর্শন লাভ করা যায়  তা তারা জানবেনা।

পুজোর কেনাকাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বছর খুব কাজের চাপে শপিং সেইভাবে করা হয়নি। এর মধ্যেই আবার মেঘালয় উড়ে যাচ্ছেন দুদিনের জন্য বন্ধুর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তাই এবছর শপিং কি করবেন এখনও জানা নেই। তবে পুজোর উপহার আদানপ্রদানের বিষয়টা থেকেই যাচ্ছে। শুধু তাই নয় পুজোর কেনাকাটা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই উপহার আদান প্রদানের দিকটাও ভীষণ ফিকে হয়ে যাচ্ছে। 

পুজোর স্মৃতির পাশাপাশি পুজোর খাওয়াদাওয়া সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অভিনেতা জানান, বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার চাহিদা তাঁর কোনওদিনই ছিল না।। বড় হয়ে হিরোইনদের মত কোমর চাইতেন তিনি। বলেই একগাল হেসে জানান, ‘এর জন্য খুব মার, বকাও খেতে হয়েছে। স্কুল ইন্সপেকশনে সবাই যখন বড় হয়ে কি হতে চায় জানতে চাওয়ায় ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে বলছে আমি বলি আমার হিরোইনদের মত কোমর চাই আর সেজন্য অনেক শাসনের মুখোমুখিও হতে হয়েছিল’। আর সেই ইচ্ছা আজও পোষণ করেন অভিনেতা তাই তাঁর স্ট্রিক্ট ডায়েট প্ল্যান রয়েছে। শরীরচর্চা মাস্ট। পুজোয় পরিবারের সকলে যদিও ভোজ সারবেন।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ভোট ফর মা’ এই স্লোগানে টালার অলিগলির দেওয়াল রাঙিয়ে তুললেন মহিলারা

শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

জানেন কী, ভূত চতুর্দশী কেন পালিত হয়, ১৪ শাকই বা কেন খাওয়া হয়?

কালীপুজোর রাতে প্রদীপের শিখাতে ঘুরবে ভাগ্যের চাকা

কালীপুজোর দিন রাতে আগুন এড়াতে এই ধরণের পোশাক পরুন..

লোহা এবং ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৮০ ফুটের কালী প্রতিমা, জনজোয়ারে ভাসবে ব্যারাকপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর