নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মঞ্চ উপস্থাপনা গওহর জানের ভূমিকায় দর্শক মনে নতুন এক প্রভাব বিস্তার করেছেন অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। এই পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’। রাণী কুসুমকুমারীর চরিত্রে দর্শক দেখতে পাবেন তাঁকে। বহু বছর পর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এর বিপরীতে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি। এই ছবির সাংবাদিক সম্মেলনে একান্ত আলাপচারিতায় এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুজোর স্মৃতি ভাগ করলেন অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
পুজোয় তাঁর কি প্ল্যান জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী জানান, সেই অর্থে কোন প্ল্যান নেই। এই বছর কলকাতায় থাকবেন কিনা তাও সঠিক জানেন না। তবে পুজো বলতেই যেটা মনে পড়ে সেটা হল ছোটবেলার পুজো। অভিনেত্রীর পুজোর স্মৃতির পাতায় টাটকা হয়ে রয়েছে বহু নস্টালজিয়া। ছোটবেলায় পাড়ার পুজোতেই কাটত তাঁর দিন। বন্ধুদের সঙ্গে সঙ্গে চলত মুখোরোচক খাওয়া-দাওয়া। ফুচকা, আলুকাবলি, চটপটি। বন্ধুদের সঙ্গে পুজো কাটানোর সেইসব দিন মিস করেন তিনি। এখন আর আগের মতো পুজো কাটাতে পারেন না।
মুম্বাইয়ের বাড়ির পুজোতেও তাঁকে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়। অভিনয়ের পাশাপাশি সংসারের দায়িত্ব পালনেও তিনি সিদ্ধহস্ত। কখনও দুর্গাপুজোর দায়িত্ব, কখনও আবার লক্ষী-পুজোয় নিজের হাতে ভোগ রান্না করা। সব ভূমিকাতেই তাঁকে দেখেছি আমরা। দু বছর আগের পুজোয় জানিয়েছিলেন ছেলে মিশুক এখন কলকাতায় থাকে না তাই ছেলেকেও ভীষণভাবে মিস করি।
যদিও গত বছর করোনার জেরে মুম্বাইয়ের পুজোতে যাওয়া হয়নি। এ বছরের পুজোতেও যাবেন কিনা তা এখনও জানেন না। তবে সমস্ত কাজের মধ্যে চেষ্টা করেন এই পুজোয় অংশগ্রহণ করার। অন্ততপক্ষে পুজোর দুটো দিন মুম্বইয়ের বাড়ির পুজোয় থাকার চেষ্টা করেন অর্পিতা।