27ºc, Haze
Wednesday, 29th March, 2023 12:18 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: আর কিছুদিন বাদেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। তাই দুর্গাপুজো বিয়ে বাংলার রন্ধ্রে রন্ধ্রে একেকটা ইতিহাস রয়েছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামবাংলার পুজো বা বনেদি বাড়ির পুজো বা জমিদার বাড়ির পুজো সবটাই বাংলা ঐতিহ্য। বর্ধমানের খাজা আনোয়ার বেড়ে জমিদার বাড়ির পুজো ১৫০ বছরের পুরনো। শোনা গিয়েছে, স্বপ্নাদেশ পেয়ে মূর্তি স্থাপন করেছিলেন এই বাড়ির জমিদার বজেন্দ্র লাল দাস। কিন্তু মহিষাসুরমর্দিনী নয়, দাস পরিবারের ঐতিহ্য হরগৌরীর আরাধনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই বাড়ির ইতিহাস!
অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে ও বিসর্জনের সময় আকাশে ওড়ে শঙ্খচিল। একসময়ে বর্ধমানের মহারাজা আর তাঁর পরিবারের সদস্যরা খোদ এই পুজোর দর্শন করতে আসতেন। তবে এই পুজোর প্রথম যে প্রচলন করেন তিনি ছিলেন মাখনলাল দাস। কিন্তু তাঁর সময়ে মূর্তিতে নয়, পুজো হত ঘটে। পরবর্তীকালে মাখনলালের পুত্র বজেন্দ্রলাল দাস স্বপ্নাদেশ পেয়ে মুর্তি পুজো করা শুরু করেন। তখন থেকেই হরগৌরীর আরাধনা চলছে এই বাড়িতে। ব্রজেন্দ্রলাল দাসের নাতি শিবশঙ্কর দাস জানিয়েছেন, ব্রজেন্দ্রলাল দাসকে দেবী স্বপ্নে দেখা দিয়ে পুজোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর স্বপ্নাদেশ পাওয়া মাত্রই শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ। একচালার কাঠামোয় বসে থাকা দেবীর ডান পাশে বসে আছেন দেবাদিদেব মহাদেব।
শিব-পার্বতীর দুপাশে লক্ষ্মী আর সরস্বতী বসেন। তাঁদের নীচে বসেন কার্তিক আর গণেশ। শিবশঙ্কর দাস আরও জানিয়েছেন, জমিদার ব্রজেন্দ্রলাল দাসের যেহেতু কোনও পুত্র সন্তান ছিল না। সেই হতাশাই কুড়ে কুড়ে খেত ব্রজেন্দ্রলাল দাসকে। আর দেবীর সেই স্বপ্নাদেশের পুজো শুরু করার পরই নাকি ব্রজেন্দ্রলাল দাস পুত্রলাভ করেন। পুত্রের নাম রাখেন দুর্গাচরণ দাস।তবে দাসবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয় পঞ্চমী থেকে। পঞ্চমীতে বোধন দিয়ে পুজোর সূচনা। এই বাড়ির পুজোর বিশেষত্ব বলতে কাঁঠালী কলা, নারকেলের বিভিন্ন মিষ্টি আর গাওয়া ঘি-এর লুচি। জমিদার বাড়িতে হয় মণ্ডা বলি। দশমীর দিন দেবীকে বিসর্জন করা হয় পাশের মল্লিকপুকুরে।