নিজস্ব প্রতিনিধি: পর পর দু’বছর বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে ভূষিত হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে গতবছর পুজোই করবে না বলেই প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নন্দকুমার স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার। তবে শেষ মুহূর্তে অনুমতি পেয়ে থিমের পুজো করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল পুজো উদ্যোক্তারা। এবারও রয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি। তবে সরকারি গাইডলাইন মেনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। মাত্র সপ্তম বছরে পা দিল নন্দকুমার এসসিসি-র পুজো। এবারও থাকছে থিমের চমক।
শুরু থেকেই প্রতিবছর নতুন নতুন থিম করে নন্দকুমারবাসীকে মাতিয়ে রাখে এনএসসিসি। কিন্তু গত দু’বছর ধরে বাজেট কমেছে। কিন্তু উন্মদনায় এতটুকু ভাটা পড়েনি। কম বাজেটেই দর্শনার্থীদের মন জয় করতে এবছরের পুজোর থিম ‘আগুন্তুক’। শিল্পী রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত গৌরাঙ্গ কুইল্যা। খড়ি, বাঁশ, খবরের কাগজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। থিমের সঙ্গেই সামঞ্জস্য রেখে গড়ে উঠছে প্রতিমাও। পুজো কমিটির সম্পাদক জন্মেঞ্জয় পাত্র জানান, গতবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। এবছর চতুর্থীর দিনে উদ্বোধন করা হবে। এবছরও মুখ্যমন্ত্রীই উদ্বোধন করতে পারেন।
সম্পাদক জানান, ক্লাবের ৯০ শতাংশ সদস্যের ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে বাকিদেরও একটি করে ডোজ নেওয়া হয়ে যাবে। পুজোর কথা মাথায় রেখেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিককের সঙ্গে আলোচতনা করে ক্লাবেই টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া চতুর্থীর দিন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে। প্রতিবছর অষ্টমীর দিন ভোগ বিতরণ করা হয় প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে। এবছরেও সেই অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি মিললে ধুমধাম করেই বিসর্জনের আয়োজন করা হবে।