নিজস্ব প্রতিনিধি ,ধান্যকুড়িয়া: শতাব্দী প্রাচীন বৈষ্ণব সেবা পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত আজও রীতি মেনে চলে ধান্যকুড়িয়া গ্রামে(Dhanyakuria Village)।ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সাধু-সন্ত্ররা দুর্গাপূজার দিনে ভিড় জমান ধান্যকুড়িয়া গ্রামে, নিরামিষ বাল্যভোজনে মাতেন বৈষ্ণব সমাজ।দেবীর মহামায়া আরাধনায়, গাইন ,বল্লভ সাউ জমিদারদের প্রথা মেনে আজও বৈষ্ণব সেবার দায়িত্ব নেয় ধান্যকড়িয়া গ্রাম।
পুজো আসলে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েকশো বৈষ্ণব ভিড় জমায় শ্রী শ্রী মহাপ্রভু মন্দিরে ধান্যকুড়িয়া বড়বাড়ি জমিদারদের গীঠ স্থানে।জমিদারি রয়ে গেছে। এখন সাধারণ গ্রামবাসীরা সেই দায়ভার কাঁধে নিয়ে আজও পরম্পরা বজায় রেখে চলেছে। সপ্তম থেকে নবমী পর্যন্ত এই গ্রামে মন্দিরে একুত্রিশ রকমের নিরামিষ পদ হয়। যেখানে উত্তরাখান্ড(Uttarakhand) বৃন্দাবন ও নবদ্বীপ থেকে আসা সাধুসন্ত্ররা নিজেরাই রান্না করে নিজেরাই সেবা করেন। এই কটা দিন ধান্যকুড়িয়া গ্রামে মানুষ এই নিরামিষ খাবারে অংশগ্রহণ করেন ।
মহালয় পর থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধুরা ভিড় জমান এই মন্দিরে । এক সময় গাইন, বল্লভ, সাউ জমিদার বাড়ি এই মন্দির প্রাঙ্গণে পুজোর পঞ্চমী(Panchami) থেকে নবমী পর্যন্ত বৈষ্ণব সমাজ আসতো ।সেখানেই গ্রামে ঘুরে একদিকে ধান্যকুড়িয়া মানুষের মঙ্গল কামনা করে তারা ঘুরে বেড়াতেন ।পাশাপাশি এই মন্দিরে এসে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তারা খাওয়া দাওয়া করতেন। জমিদারদের পাশাপাশি মৃত নিখাল মন্ডল ও নিশিত বিশ্বাস দায়ভার কাঁধে নিয়েছে তার পরম্পরা আজও বজায় রেখেছে, বর্তমানে আদিত্য বিশ্বাস সহগ্রামের সাধারণ মানুষ দায়িত্বভার কাজে নিয়ে সেই পরম্পরা বজায় রেখেছে।