নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বছর করোনা অতিমারীর জন্য বিধিনিষেধে মার খেয়েছে পর্যটন ব্যবসা। এ বছর বিধিনিষেধ কিছুটা কমায় ফের জোয়ার আসছে পর্যটন শিল্পে। এর সঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচি জোরদার হওয়ায় ফের ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তবে মূলত ঝোঁক অফবিট পর্যটন কেন্দ্রের দিকেই। সূত্রের খবর, চলতি বছরে পুজোয় ডুয়ার্সে যাওয়ার ঝোঁক বেড়েছে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের মধ্যে।
ফলে ৫ অক্টোবর থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত কোথাও ঘর খালি নেই ডুয়ার্সে। বেশিরভাগ মানুষের হোম স্টেগুলিতে থাকার ঝোঁক বেড়ছে। তবে রিসর্টগুলির বুকিংও ভালো বলে জানা গিয়েছে। এখন থেকেই কালীপুজোর বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। যারা এবার ডুয়ার্সে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাই তাঁদের দ্রুত হোটেল বুকিংয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নাহলে ঠাঁই মিলবে না বলেই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। তবে এখনও হোটেলগুলিতে বুকিং পাওয়া যাচ্ছে। হোটেল ব্যবসায়ীদের ধারণা করোনা পরিস্থিতির জন্যই হোম স্টে এবং রিসর্টে বুকিং বেশি হচ্ছে। তবে তাঁদের আশা এবার হোটেলগুলিতেও বুকিং শুরু হবে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই ডুয়ার্সের জঙ্গলগুলি খুলে দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের জন্য। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু আসন্ন পুজোর মরশুমে দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত সময়ে ডুয়ার্সের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে হোটেল ও হোম স্টে-র রুম প্রায় বুক হয়ে গিয়েছে। যেটুকু খালি রয়েছে সেগুলিও শেষ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ডুয়ার্স ও পাহাড়ের সিংহভাগ হোম স্টেগুলিতে আর জায়গা নেই। এবার পুজোতে হোম স্টেগুলির বুকিং ভালো হওয়ায় খুশির হাওয়া মালিকদের মধ্যে। তাঁরা এর পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য়ের পর্যটন দপ্তরের নিজস্ব পোর্টালে হোম স্টেগুলির বুকিংয়ের সুবিধা মেলাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বুকিং আসছে। বুকিংয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরের https://www.wbtdcl.com/ ওয়েবসাইটে সার্চ করুন।