এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পুজোর ছুটিতে বাড়িতে থাকতে চান না! তাহলে ঘুরে আসুন বনলক্ষী, ঝিলিমিলি, কাঁকসার গড় জঙ্গল থেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় আছে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। পুজোর সময় অনেকে বাড়ি ছেড়ে কোথাও যেতে না চাইলেও অনেকে এমনও আছেন যারা একাধারে লম্বা ছুটি পেয়েও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হারাতে চান না। এই সময়ে সব আনন্দ যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। যারা ঘুরতে চলে যান, তাঁরা হয়তো ভাবেন প্রতিবারই তো বাড়িতেই থাকি এবার শহর ছেড়ে কয়েকদিনের জন্যে দূরে গেলে মন্দ হয় না। তাই পুজোর ছুটিকে একেবারে কাজে লাগিয়ে দে ছুট। পাহাড়-জঙ্গল-সমুদ্র তিনটের প্রতি ভালোবাসা পৃথক পৃথক মানুষে কম বেশি রয়েছেই। তবে পুজোর কিছুদিন বাড়িতে কাটিয়েই ভ্রমণে চলে যেতে পারেন। তবে কাছে পিঠে ঘুরে আসুন। আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই একাধিক ঘুরতে যাওয়ার জায়গা রয়েছে। তাই পুজোর দিনগুলিতে জেলাভিত্তিক বেশ কয়েকটি স্থান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। পুজোর আনন্দও হল আবার হারিয়ে যাওয়া নিজের ফুরফুরে মেজাজও ফিরে পাওয়া হল।

বোলপুর বনলক্ষী

সারাদিনের ব্যাস্ততার মধ্যে একটু নিরিবিলি আশ্রয় খুঁজতে বোলপুরে অনেকেই যান। বোলপুরের এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে আপনার চঞ্চল মন শান্ত হতে বাধ্য। বোলপুর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ‘বনলক্ষী‘। এখানে মোরগের ডাকে ভোর হয়। প্রায় ৪০ বিঘা জায়গাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে এই বনলক্ষী। ১৯৬৩ সালে বনলক্ষীর পথ চলা শুরু হয়েছে। এখানকার প্রধান আকর্ষণ, একসঙ্গে দেখা মিলবে ৪০০ বছরের প্রাচীন বট গাছের। শুনতে পাবেন পাখির কলরব এবং ঝিঁঝি পোকার ডাক।

কী ভাবে যাবেন

বোলপুর স্টেশনে নেমে প্রাইভেট গাড়ি করে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরেই গেলেই পৌঁছে যাবেন বনলক্ষী। বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতন ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে পাকা রাস্তা দিয়ে গেলেই ইলামবাজার জঙ্গল, আর সেখান থেকেই শুরু এই বনলক্ষী। আর দেরি না করে পুজোতে এই ডেস্টিনেশন থেকে ঘুরে আসতেই পারেন।

বাঁকুড়া জেলার ঝিলিমিলি

বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের একেবারে শেষপ্রান্তে রানিবাঁধ ব্লকেই অবস্থিত ‘ঝিলিমিলি’। এই ট্যুরিস্ট স্পটটি সৌন্দর্য ও নির্জনতার জন্য বিখ্যাত। লালমাটির পাহাড় আর সবুজে মোড়া ঝিলিমিলিতে পুজোর চারটে দিন অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারেন। এখানকার বিশেষ আকর্ষণ ‘গাছবাড়ি’। গাছবাড়ির ব্যালকনিতে বসে দেখতে পাবেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য। জঙ্গলের ঘন অন্ধকারের মধ্যে ঝিঁঝি পোকার ডাক, সঙ্গে চাঁদের ঝলকানি সৌন্দর্য্য আরও দ্বিগুণ করে দেবে। অরণ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক ভিউপয়েন্ট। অন্যদিকে জঙ্গলজুড়ে রয়েছে হাতি যাওয়ার জন্য একটি নিদিষ্ট রাস্তা।

কী ভাবে যাবেন

বাঁকুড়া থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার। বাঁকুড়া থেকে বাস কিংবা পার্সোনাল গাড়িতে অনায়াসে যেতে পারেন ঝিলিমিলি। অন্যদিকে রেলপথে কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার দূরত্ব ২৩৩ কিলোমিটার। বাঁকুড়ায় নেমে ক্যাব কিংবা বাস যে কোনো একটিতে করে নিলেই পৌঁছে যাবেন ঝিলিমিলি।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার গড় জঙ্গল

এখানকার ১০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে শুধুই ট্রেকিং রুট তৈরি করেছে বন দফতর। গড় জঙ্গলেই রয়েছে মেধাস মুনির আশ্রম। আশ্রম দেখার পাশাপাশি এখানকার বিশেষ আকর্ষণ ঘন জঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ট্রেকিং রুটে ঐতিহাসিক মন্দিরের পাশাপাশি টেরাকোটা সমৃদ্ধ কয়েক হাজার পুরোনো মন্দিরও দেখতে পারবেন। অন্যদিকে রয়েছে ইছাই ঘোষের দেউল। অতীতের ‘ঢেকুর’ নাম মুছে বর্তমানে এর নাম দেওয়া হয়েছে নাম গৌরাঙ্গপুর। তবে এখানে জনবসতি নেই বললেই চলে। বয়ে গেছে অজয় নদ। ও-পারে কবি জয়দেবের কেন্দুলি, আর এ-পারে শাল-অর্জুন-শিরীষ এবং বুনো গাছগাছালিতে ভরা গা ছমছমে জঙ্গল। জঙ্গলের মাঝে রয়েছে ইতিহাস প্রসিদ্ধ এক বিশাল শিবমন্দির। যা আজও বহন করে চলেছে অতীতের স্মৃতি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ভোট ফর মা’ এই স্লোগানে টালার অলিগলির দেওয়াল রাঙিয়ে তুললেন মহিলারা

শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

জানেন কী, ভূত চতুর্দশী কেন পালিত হয়, ১৪ শাকই বা কেন খাওয়া হয়?

কালীপুজোর রাতে প্রদীপের শিখাতে ঘুরবে ভাগ্যের চাকা

কালীপুজোর দিন রাতে আগুন এড়াতে এই ধরণের পোশাক পরুন..

লোহা এবং ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৮০ ফুটের কালী প্রতিমা, জনজোয়ারে ভাসবে ব্যারাকপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর