নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘আসছে বছর আবার হবে’, মা দুর্গার বিদায়বেলায় মন খারাপ না করে বরং আপামর বাঙালি এখন এটাই বলছে। পঞ্জিকামতে আজ শুক্রবারই দুর্গাপুজোর ঢাকে শেষ কাঠি পড়ার দিন। ইতিমধ্যেই মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়ে গিয়েছে সিঁদূর খেলা। ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতারও তোড়জোড় চলছে। শহর ও শহরতলীর বেশিরভাগ দুর্গাপ্রতিমা আজই নিরঞ্জণ হবে। তাই একটু হলেও ভারাক্রান্ত সকলের মন। এ বছর মায়ের আগমণ হয়েছিল ঘোটক বা ঘোড়াতে এবং বিদায় দোলায়। আর এখন থেকেই ফের পরের বছরের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছেন অনেকে। ঠাকুর জলে পড়ার আগেই একবার দেখে নিন, পরের বছর পুজো কবে?
এবার দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল ১১ অক্টোবর। ওউদিন ছিল বোধন। গত ১২ অক্টোবর, সপ্তমী থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজো। ১৩ অক্টোবর ছিল অষ্টমী। নবমী ছিল যথাক্রমে ১৪ অক্টোবর। আজ বিজয়া দশমী। পরের বছর কিছুটা এগিয়ে আসবে পুজোর দিন। আগামী বছর ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া। দুর্গাপুজো শুরু হবে ১ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার থেকে। ওইদিন ষষ্ঠী, সপ্তমী পড়েছে ২ অক্টোবর অর্থাৎ রবিবার। দুটো ছুটির দিন একসঙ্গে পড়েছে। একে রবিবার, তাও আবার গান্ধি জয়ন্তী। তাঁর মধ্যে যাঁদের গোটা পুজোয় ছুটি থাকে, তাঁদের একসঙ্গে তিনটি ছুটির বাদ যাবে। ৩, ৪ ও ৫ অক্টোবর যথাক্রমে অষ্টমী, নবমী ও বিজয়া দশমী। ২০২৩ সালে আবার কিছুদিন পিছিয়ে গিয়েছে পুজোর দিন। ওইবছর ষষ্ঠী ২০ অক্টোবর। সপ্তমী ২১ অক্টোবর, ২২ অক্টোবর অষ্টমী, ২৩ অক্টোবর মহানবমী, ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী। ২০২৪ সালে আবারও এগিয়ে পুজো শুরু হবে ৯ অক্টোবর থেকে। ওই দিনই ষষ্ঠী। ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী, নবমী ১২ অক্টোবর এবং বিজয়া দশমী ১৩ অক্টোবর।
বাংলায় এদিন বিজয় দশমী পালন হচ্ছে। শাস্ত্রমতে এদিন মহিষাসুরকে বধ করে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। একইসঙ্গে এদিনই দেবী দুর্গা মর্তে ফিরে যান। অন্যদিকে এদিনই বারণকে বধ করেছিলেন রামচন্দ্র। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে এদিন রাবণের কুশপুতুল পুড়িয়ে উৎসব উদযাপিত হয়। আতসবাজির রোশনাই সব মলিনতা দূরে সরিয়ে দেয়। রামলীলা হয় দেশের বহু স্থানে।