নিজস্ব প্রতিনিধি: আর মাত্র কুড়ি দিনও বাকি নেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের। তবে কলকাতার পাশাপাশি বাংলার পাড়ায় পাড়ায়, শহরস্থলী এমনকি গ্রামে গ্রামেও দুর্গা পুজো বেশ ধুমধাম করেই পালন করা হয়। তাই আমাদের বাংলায় পরতে পরতে দুর্গাপুজোর ইতিহাস ভর্তি। আজ জানাবো ৩০০ বছরের একটি জমিদার বাড়ির ইতিহাস। যেখানে আজও প্রাচীন নিয়ম মেনেই দুর্গাপুজো হয়। বাঁকুড়ার দু’নম্বর ব্লকের কোষ্টিয়া গ্রামে সার্থক সিট জমিদার বাড়ির প্রাচীন দুর্গাদালানে পুজিতা হন দেবী দুর্গা। এই পরিবারের ঐতিহ্য জমিদার বাড়ির বড়-বড় দালানে দুর্গা পুজো হওয়া।
জানা গিয়েছে, এখানকার বিষ্ণু মন্দির সিট জমিদার বাড়ির আভিজাত্যের চিহ্ন। আজ থেকে ৩০০ বছর আগে এই বাড়িতে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়। একই বিধি নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে আজও এই বাড়িতে পুজিতা হন দুর্গা। বছরের এই সময়েই পুজোর টানে পরিবারের সব সদস্য উপস্থিত হন। আর এই পুজোর দিনগুলিতে এই গ্রামের মানুষও মেতে উঠেন। জৌলুস কম থাকলেও এই জমিদার বাড়ির আভিজাত্যের পুজোতে রয়েছে নিষ্ঠা ও ভক্তি।
এই জমিদার বাড়ির অন্যতম সদস্য গোপাল পালের কথায়, ‘আগে পুজোর রমরমা আরও বেশি ছিল। তবে সরকার জমিদার বাড়ির ধন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়ার পর থেকে এই পুজোর জাঁকজমক কমে গিয়েছে। পুজোর শুরু জমিদার সার্থক সিটের হাত ধরে। তখন তাঁর আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। জঙ্গলে গরু মোষ চড়াতে গিয়ে মা দুর্গার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর মা দুর্গার পুজো শুরু করেন তিনি। তারপরই তাঁর সুদিন ফেরে। ঘরবাড়ি সব হয়।” শুধু জমিদার বাড়ির সদস্যরাই নন, গ্রামবাসীরাও তাকিয়ে থাকেন এই পুজোর দিনগুলির দিকে।