এই মুহূর্তে

শোভনের ওয়ার্ডেই দাপট এখন রত্নার! নজর উন্নয়নে

নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি এলাকাবাসী আর দলীয়কর্মীদের ছেড়ে যাননি। বরঞ্চ স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাঁর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। কেননা বিগত ২-৩ বছর ধরে তিনিই কলকাতা পুরনিগমের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অঘোষিত অভিভাবিকা। তাই দলও এবার তাঁকে সেই ওয়ার্ডেরই প্রার্থী করেছে। বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি তাই তাঁকে পুরযুদ্ধেও অবতীর্ণ হতে হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের জন্য ভোট চাইতে হচ্ছে। খেয়াল রাখতে হচ্ছে নিজের সন্তানদের পাশাপাশি বৃহত্তর পরিবারেরও। সেই বৃহত্তর পরিবারে যেমন রয়েছে এলাকার বাসিন্দারা তেমনি রয়েছেন দলের নেতা ও কর্মীরাও। সকলের দিকে তাঁকে নজর রাখতে হচ্ছে। তিনি বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ও কলকাতা পুরনিগমের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়।

শোভন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন এই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর। কিন্তু ২-৩ বছর আগেই বেহালার পর্ণশ্রী এলাকার মহারানী ইন্দিরা দেবী রোডের তিনি তাঁর পৈতৃক ভিটে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। অভিযোগ, তারপর থেকে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে তো দূরের কথা, নিজের ছেলেমেয়ের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ রাখেননি তিনি। তাঁদের কোনও খোঁজখবরও রাখেন না। নিজের পরিবারকে যেভাবে তিনি দূরে ঠেলে দিয়েছেন, ঠিক সেই একইভাবে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও মুখ ঘুরিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই শোভনবাবুর অনুপস্থিতিতে সেই ওয়ার্ডের উন্নয়ন ধাক্কা খেয়েছে। তবে এলাকাবাসী যাতে পুরপরিষেবা থেকে বঞ্চিত না থাকেন তা দেখতে সেই সময় থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েন শোভনপত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বার্ধক্য ভাতা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, পানীয় জলের সংযোগ থেকে বৃষ্টিতে জল জমার সমস্যা, প্রতিটি ক্ষেত্রে নজর রেখেছেন রত্না। কোভিডকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে আম্ফানের ধ্বংসলীলার মধ্যেও নীরবে নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন রত্না। তাঁর সেই কাজ দেখে দলের তরফেই তাঁকে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আগেই। এবার তাঁকেই প্রার্থী করে দেওয়া হল তাঁকে।

কলকাতার বেহালা এলাকায় অবস্থান ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের। সেখানে জমা জলের সমস্যা আছে। বৃষ্টি হলেই জল জমে সেখানে। সেই সমস্যা কাটাতে খাল সংস্কারের কাজে জোর দিতে চান রত্না। সেই সঙ্গে জোর দিতে চান এলাকার রাস্তাঘাট ঠিকঠাক রাখা, এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দিকেও। এলাকাবাসীও রত্নাকে প্রার্থী হিসাবে পেয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁরা চান স্বচ্ছ প্রশাসন, সেই সঙ্গে উন্নয়ন। আগামী ১৯ তারিখ তাঁরা সকলেই বুথমুখী হবেন। রত্নার বিরুদ্ধে বিরোধী দলের প্রার্থী আছে ঠিকই, তবে সবটাই খাতায় কলমে। বিধানসভা নির্বাচনে হেরে বিজেপির সংগঠন গিয়েছে ভেঙে। আর বামেরা বিধানসভা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে বেহালাতেও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস তো সেখানে সাইনবোর্ড হয়েই গিয়েছে। এই অবস্থায় জয় নিয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী রত্না। এলাকাতেও তাই চর্চা রত্না ঠিক কত মার্জিনে ভোটে জিতবেন! কার্যত রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর হওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খড়গপুর চাইছে হিরণকে! তৃণমূলের নজরে দলীয় কাউন্সিলরই

কাঁথির পুরপ্রধান রীনা, উপপুরপ্রধান অখিলপুত্র সুপ্রকাশ গিরি

ওয়াকআউট করুক নির্দলরা! ত্রিশঙ্কু পুরসভায় রণনীতি তৃণমূলের

বামেদের উত্থান আসলে তৃণমূলের কারসাজি! দাবি দিলীপের

জঙ্গলমহলেও ধাক্কা পদ্মের! প্রশ্নের মুখে দিলীপ-সৌমিত্র

আনিস কাণ্ডের কোনও প্রভাবই পড়ল না পুরনির্বাচনে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর