নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে বহু প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেল ‘মিশন: ইম্পসিবল-7’। গতকাল গোটা বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে হলি সুপারস্টার টম ক্রজ অভিনীত বহুল প্রত্যাশিত এই ছবি। ছবিটি মুক্তির একদিনেই প্রায় ১৩ কোটি রোজগার করেছে। ছবিতে রয়েছে একাধিক ভয়ানক স্টান্ট। টম ক্রুজকে ইথান হান্ট, একজন IMF (ইম্পসিবল মিশন ফোর্স) এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। মিশন ইম্পসিবল-এর সপ্তম ফ্র্যাঞ্চাইজি ইতিমধ্যেই ভারতীয় বক্সঅফিসে ব্যাপক ওপেনিং নিয়েছে। দিন কয়েক ধরেই এই ছবি রয়েছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ৬১ বছর বয়সেও টম ক্রুজের মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্ট, তাঁর সুঠাম চেহারা, দক্ষতাপূর্ণ অভিনয় বিশ্ব জুড়ে ভক্তদের মুগ্ধ করেছে। ছবিটি প্রথম দিনেই বিশ্বব্যাপী প্রচুর সংগ্রহে নেমেছে। টম ক্রুজ, হলিউডের অন্যতম চাওয়া-পাওয়া অভিনেতা। ছবিটির বাজেট প্রায় কয়েকশো মিলিয়ন ডলার। জানেন কী, এই ছবি থেকে কত উপার্জন করলেন সুপারস্টার। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
‘মিশন: ইম্পসিবলের শেষ কিস্তি অর্থাৎ মিশন ইম্পসিবল, ফলআউট (২০১৮), এই ছবির মোট বাজেট ছিল প্রায় ১৯০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রা যার পরিমাণ প্রায় ১৫৬২ কোটি টাকা)। স্বাভাবিকভাবেই ‘মিশন: ইম্পসিবল-ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ এর বাজেট প্রায় ২৯০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৩৮৫ কোটি টাকা)। যেটি হলিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মুভিগুলির মধ্যে একটি। দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুসারে, টম ক্রুজ পূর্ববর্তী মিশন ইম্পসিবল মুভিগুলি থেকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন (আনুমানিক ৮২২ কোটি) আয় করেছিলেন। তবে সপ্তম অংশের জন্য, তিনি অগ্রিম নিয়ে ছিলেন ১২-১৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯৮ – ১১৫ কোটি টাকা)! ছবির বক্সঅফিস কালেকশন থেকেও তাঁর ঝুলিতে কিছু পরিমাণ অর্থ ঢুকবে। কারণ তিনি এই ছবির সহ-প্রযোজক। জাস্ট জ্যারেডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে , টম ক্রুজ, ছবি থেকে মোট উপার্জন করেছেন প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার (আনুমানিক ৪৯৪৪ কোটি টাকা), যদি মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান সফল হয় তবে আরও মিলিয়ন ডলার যোগ হবে তাঁর পারিশ্রমিকে।
‘MI 7’ সম্পর্কে
‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি। এটি MI ফ্র্যাঞ্চাইজির সপ্তম কিস্তি। ছবিটিতে টম ক্রুজের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং র্যামস, সাইমন পেগ, রেবেকা ফার্গুসন, এসাই মোরালেস, ভেনেসা কিরবি, পম ক্লেমেন্টিফ এবং হেনরি চের্নি।