নিজস্ব প্রতিনিধি: জ্যাকলিনের পর এবার নোরা ফতেহি। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় গতবছর থেকেই নাম জড়িয়ে রয়েছে জ্যাকলিনের। এমনকি ইডি অনেক আগেই চার্জশিট পেশ করেছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজের বিরুদ্ধে। অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যাওয়াও নিষেধ নায়িকার। সেই কারণে অনেকগুলি ছবির শ্যুটিংয়েও বাইরে যেতে পারেননি জ্যাকলিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, সুকেশের কাছ থেকে জ্যাকলিন বহু দামী দামী উপহার নিয়েছেন।
এছাড়া সুকেশের দাবি ছিল যে, জ্যাকলিনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যদিও জ্যাকলিন সবটাই অস্বীকার করেছেন। এবার এই মামলা-তেই বিপদে পড়লেন বলিউডের আরেক সুন্দরী নোরা ফতেহি। তাঁর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ, তিনিও নাকি সুকেশের কাছ থেকে দামী-দামী উপহার নিয়েছেন। নোরাকে শুক্রবার টানা টানা সাত ঘন্টা ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংস। জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংস-এর তরফে দায়ের এফআইআরের ভিত্তিতে এই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
সূত্রের খবর, এদিন নোরাকে ৫০টিরও বেশি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কী কী উপহার সুকেশের কাজ থেকে পেয়েছেন নোরা, কার সঙ্গে নোরার কথা হত? কীভাবে সুকেশের সঙ্গে তাঁর পরিচয়? তারপর সম্পর্ক কেমনভাবে এগোল? সব কিছুই জানতে চাওয়া হয়েছে নোরার কাছ থেকে।নোরা এদিন সম্পূর্ণ সহায়তা করেছেন পুলিশকে। তিনি জানিয়েছেন, জ্যাকলিনের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। আলাদা আলাদাভাবে তাঁদের সুকেশের সঙ্গে কথা হত। তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তাঁর। এদিকে জ্যাকলিনকে সুকেশ মামলায় দোষী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে গত সপ্তাহেই। দিল্লি হাইকোর্টে পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের টাকার লোভের তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন জ্যাকলিন। অন্যদিকে জ্যাকলিন জানিয়েছেন, কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে বলিউডের অনেক তারকাই উপহার নিয়েছেন, তাহলে শুধু তাঁর দিকেই আঙুল তোলা কেন? সুতরাং জালিয়াতির এই মামলায় ইতিমধ্যেই ঘোর বিপাকে জ্যাকলিন রয়েছেন, এবার বিপদের মুখে নোরা।