নিজস্ব প্রতিনিধি : সিনেমা জগতের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে বলিউডের আমির খান। নামি প্রযোজক হওয়া স্বত্ত্বেও ঋণের দায়ে জর্জরিত ছিলেন বাবা তাহির হোসেন। কতটা কষ্টে তাঁরা ভাইবোনরা বড় হয়েছেন, সম্প্রতি সেই কথাই শোনালেন অভিনেতা আমির খান।সম্প্রতি এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান যে, ‘আমার বাবা খুবই সাধারণ মানুষ ছিলেন। আমার যখন দশ বছর বয়স, তখন তিনি একটি ছবি তৈরির জন্য বিশাল অঙ্কের লোন নিয়েছিলেন। কিন্তু লোন নেওয়ার প্রায় আট বছর পরেও বাবা ছবিটা তৈরি করে উঠতে পারেননি। তিনি হয়তো তখন বুঝতে পারেননি যে এত টাকা লোন নেওয়া উচিত হবে না।’ এটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি। স্মৃতিচারনায় উঠে আসে বেদনা।
খানিকটা সামলে নিয়ে আবার বলতে শুরু করেন ‘বাবার কাছে কখনওই টাকা থাকত না। ওঁকে সমস্যার মধ্যে দেখে কষ্ট হত। কারণ যাঁদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন তাঁরা হামেশাই ফোন করতেন। টাকার জন্য তাগাদা দিতেন। কিন্তু বাবার তো তখন পকেট ফাঁকা। দিতে না পারলে ঝামেলা শুরু হয়ে যেত।’ তাঁর বাবার আর্থিক সমস্যার কথা এইভাবে তুলে ধরেন তিনি।
পাশাপাশি তুলে ধরেন এই আর্থিক সমস্যায় কিভাবে তাঁর মা সংসারের হাল ফিরিয়েছিলেন। তাঁর মা চিলেন লড়াকু।এমনকি কখনো স্কুল ফি বাকি রাখে নি তাঁর মা।পড়াশোনায় ক্ষতি হতে দেন নি বলে জানান আমির।তিনি আরও বলেন ‘নিজেরা নতুন জামাকাপড় না পরলেও আমাদের জামাপ্যান্ট কেনা হতো।‘ আমিরের পরিবার চেয়েছিল যে তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার, বা একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বা একজন ডাক্তার হন। তারা তাকে একটি নির্দিষ্ট আয়ের সাথে পেশাদার চাকরি করতে চেয়েছিল। যাইহোক, কিন্তু তাঁর মন ছিল একজন অভিনেতা হওয়ার। আজ তিনি একজন সূদক্ষ অভিনেতা। শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছে ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবিতে।