নিজস্ব প্রতিনিধি: মহাদেব বেটিং মামলায় একের পর এক নাম জড়াচ্ছে বলিউড তারকাদের। গতবছর থেকেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছে মহাদেব বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের নাম। যাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫০০0 কোটির উপর আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এবার মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিনেতা সাহিল খানকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, ছত্তিশগড় থেকে মুম্বই সাইবার সেলের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) সাহিল খানকে গ্রেফতার করেছে। সেখানেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন সাহিল খান। কারণ তাঁর প্রাক-গ্রেফতার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট। এর আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এসআইটি সাহিল-সহ আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, কিন্তু সাহিল উপস্থিত হননি, বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মেসার্সের সঙ্গে একটি চুক্তির অধীনে শুধুমাত্র নিজেকে একজন ব্র্যান্ড প্রবর্তক বলে দাবি করেছিলেন।
এমনকি তিনি Isports247, The Lion Book ব্র্যান্ডের প্রচার, এবং বেটিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, সাহিল মহাদেব অ্যাপের সহ-মালিক। তাঁকে এখন রায়পুর হয়ে মুম্বই আনা হচ্ছে। পুলিশের মতে, তিনি লোটাস অ্যাপ 247-এরও অংশীদার ছিলেন এবং রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির হতে হবে। এদিকে সাহিলের দাবী যে, বিতর্কিত অ্যাপের সঙ্গে তাঁর চুক্তি ২৪ মাসের জন্য ছিল। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারমূলক ভিডিও পোস্টের জন্য তিনি মাসিক ৩ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক পেতেন। তা সত্ত্বেও, আদালত অবৈধ অভিযানে সরাসরি জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। সাহিল খান, একসময় বলিউডে দাপট দেখাতে পারলেও এখন তেমন খ্যাতি নেই তাঁর। স্টাইল এবং এক্সকিউজ মি-তে অভিনয়ের জন্যে পরিচিত সাহিল খান। তবে তিনি এখন ফিটনেসের দিকে মনোনিবেশ করেন, এছাড়াও তিনি নিজের নামে ডিভাইন নিউট্রিশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা ফিটনেস পরিপূরক। ২০২৩ সালে, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলার তদন্ত চালিয়ে ১৫ ডিসেম্বর সাহিল খান এবং অন্য তিনজনকে তাদের বক্তব্য রেকর্ডের জন্য তলব করেছিল।
তবে, সাহিল খান তদন্তের জন্য পুলিশের সামনে উপস্থিত হননি। বরং সেই সময়ে একটি ছবি পোস্ট করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন সাহিল খান। একটি পুলে বসে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, “শুভ সকাল, জুম্মা মোবারক।” পুলিশের সমন উপেক্ষা করে তাঁর এই পোস্ট রীতিমতো সমালোচনার শিকার হয়েছিল। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে যে সাহিল খান, একজন ফিটনেস বিশেষজ্ঞ এবং ইউটিউবার হিসাবে, অ্যাপটিকে প্রচার করার এবং আরও বেশি ব্যক্তিকে এটি ব্যবহার করার জন্য প্রলুব্ধ করেছিল। মামলাটি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একযোগে তদন্তের অধীনে, বিভিন্ন এজেন্সি দ্বারা বিভিন্ন বেটিং এবং গেমিং অ্যাপের উপর ক্র্যাকডাউনের পরে আরও বেশ কয়েকজন বলিউড অভিনেতাকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছিল। যাদের মধ্যে আছেন, রণবীর কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুর, টাইগার শ্রফ, কপিল শর্মা, হুমা কুরেশি প্রমুখ।