নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপারস্টার সলমনের পর এবার হানি সিং। গত বছর পাঞ্জাবী গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর পর থেকেই একের পর এক মৃত্যু হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন সুপারস্টার। নেপথ্যে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। যাঁর দলবল প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সিধু মুসেওয়ালাকে। এরপরেই তাঁর টার্গেট হয় সলমন খান। কখনও ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ আবার কখনও উড়ো চিঠি ও ফোন কল আবার কখনও প্রকাশ্যে দিবালোকে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলবল। এরপরেই মহারাষ্ট্র সরকার সলমনের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেয়। এবার নাকি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগী গোল্ডি ব্রারের হুমকির কল পেলেন জনপ্রিয় RAP গায়ক হানি সিং। হুমকি পাওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি দিল্লির পুলিশ সদর দফতরে পৌঁছলেন হানি সিং।
গোল্ডি ব্রারই ছিলেন সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। এদিন গায়ক এবং র্যাপার দিল্লি পুলিশ সদর দফতর থেকে বেরিয়ে মিডিয়াকে এই ঘটনা জানিয়েছেন। যদিও তিনি পুলিশের পরামর্শ ছাড়া বিশেষ কিছু প্রকাশ করতে চাননি, শুধুমাত্র বলেছেন যে, তাঁর কর্মীরা গোল্ডি ব্রার নামে একজনের কাছ থেকে হুমকি ফোন পেয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, মানুষ তাঁকে এত ভালোবাসা দিয়েছে তাঁর জন্যে ধন্যবাদ। প্রথমবার এরকম হুমকি কলের সম্মুখীন হলেন তিনি। সত্যিই ভয় পেয়েছেন, তাই দিল্লি পুলিশের কাছে সুরক্ষা চাইতে এদিন পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ভয়েস নোটের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হানি। আজ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। হানির কথায়, “আমি ভীত, আমার পুরো পরিবার ভীত। মৃত্যুকে কে ভয় পায় না? এই প্রথম আমি এমন হুমকি পেয়েছি। আমি মানুষের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি, আমার কর্মীরা গোল্ডি ব্রার বলে দাবি করেছে। যিনি আন্তর্জাতিক নম্বর এবং ভয়েস নোট থেকে কল করেছিলেন।”
গোল্ডি ব্রারের পুরো নাম সতবিন্দরজিৎ সিং। সতবিন্দরজিৎ সিং ওরফে গোল্ডি ব্রার ১৯৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন, বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পাঞ্জাবের শ্রী মুক্তসার সাহেবের বাসিন্দা সতীন্দরজিৎ সিং ওরফে গোল্ডি ব্রার ২০১৭ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় গিয়েছিলেন। একটি ফেসবুক পোস্টে, গোল্ডি ব্রার বলেছিলেন, “সিধু মুসে ওয়ালাকে হত্যার পিছনে আছি শচীন বিষ্ণোই ধত্তরানওয়ালি, লরেন্স বিষ্ণোই এবং আমি।” গ্যাংস্টার দাবি করেন যে, সে ভিকি মিডুখেরার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে তিনি সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যা করেছেন।