নিজস্ব প্রতিনিধি: বক্সঅফিসে টানা ৩২ দিন রাজত্ব করার পরেও অটুট শাহরুখের পাঠানের প্রতি ভালোবাসা। এখনও সিনেমা হলে একইরকম ভিড় চোখে পড়ছে। এদিকে আয়ের নিরিখে ১০০০ কোটি পেরিয়ে ১১০০ কোটি গণ্ডির দিকে এগিয়েছে শাহরুখের পাঠান। শাহরুখের মাধ্যমে বলিউডে আলো ঢুকলেও, পাঠানের দাপটে মুখ থুবড়ে পড়ছে অন্যান্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলি। হলে হলে ভিড় জমছে শুধুই পাঠান দেখার জন্যে। এদিকে কার্তিক আরিয়ানের ‘শেহজাদা’-র বয়স ৯ দিন পরেও ৫০ কোটি ছুঁতে পারেনি। এছাড়াও ২৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমার ও ইমরান হাশমির বহু প্রতীক্ষিত ‘সেলফি’, সেটিও বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। দুদিনেও ১০ কোটি রোজগার করতে পারেনি। ইতিমধ্যেই অক্ষয় অভিনীত টানা ৭-৮ টি বিগ বাজেটের ছবি ফ্লপের তকমা পেয়েছে। গতবছর থেকেই ফ্লপের কবলে নায়ক, একে একে সম্রাট পৃথ্বীরাজ, রামসেতু, রক্ষাবন্ধন-সহ একাধিক সিনেমা মুক্তির পরেই বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক রা মনে করছেন, অক্ষয়ের ‘সেলফি’ সবচেয়ে বড় ফ্লপ। তাই বোধহয় এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা নয়তো অবসর নেওয়ার পালা। দর্শক আর দেখতে চাইছেন না তাঁকে। হ্যাঁ, সম্প্রতি সেলফির ফ্লপের বিষয়ে সাংবাদিক মাধ্যমে মুখ খুললেন অভিনেতা।
এদিকে একের পর এক ছবির ব্যর্থতার ফলে কোনও বড় প্রযোজনা সংস্থা অক্ষয়ের সঙ্গে কাজ করতে রাজি নয়। অক্ষয় কুমার অভিনীত শেষ সুপারহিট ছবি ছিল সূর্যবংশী। যেটি ২০২১ সালে ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছিল, ছবিটিতে ক্যাটরিনা কাইফের বিপরীতে অভিনয় করেন খিলাড়ি। ছবিটিতে রণবীর সিং এবং অজয় দেবগনের ক্যামিও ছিল। তারপরে সবকটি ছবিই ফ্লপ নায়কের। তাঁর মারাঠা ডেবিউ ছবি, সেটিও ফ্লপ। সম্প্রতি সেলফির ব্যার্থতা নিয়ে নিজেকেই দুষলেন অভিনেতা। অক্ষয় আজতকের সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার সঙ্গে এটি প্রথমবার ঘটছে না। আমার কেরিয়ারে একটানা ১৬ টি ছবি হয়েছিল ফ্লপ। একটা সময় ছিল যখন আমার একটানা আটটা ছবিতে আমি কাজ করেনি। ব্যাপারটা হল আপনার নিজের কারণেই হয় হচ্ছে। দোষ, একটি ফিল্মের নয়। দর্শকরা বদলে গিয়েছে, এবার আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে, আপনাকে অন্যভাবে তুলে ধরতে হবে, আপনাকে নতুন করে শুরু করতে হবে কারণ দর্শক অন্যকিছু দেখতে চাইছে।”
অক্ষয় আরও বলেন, “এটি একটি দুর্দান্ত অ্যালার্ম, যদি আপনার চলচ্চিত্রগুলি কাজ না করে তবে এটি আপনার দোষ। যখন আপনার চলচ্চিত্রগুলি পরপর ফ্লপ হয়, তখন এটি আপনার জন্য একটি বিপদের কারণ। আমি পরিবর্তনের চেষ্টা করছি, এটাই আমি করতে পারি। শ্রোতা বা অন্য কাউকে দোষারোপ করবেন না। এটা আমার দোষ, 100%। আপনার ছবিগুলি না চলার কারণ আপনি নিজে, কারণ হয়তো আপনি ফিল্মে সঠিক উপাদানগুলি দিতে পারেননি।” মহামারী, লকডাউন এবং বিধিনিষেধের কারণে বক্স অফিসের স্থবিরতার পরে, অক্ষয় কুমারের বেলবটম ছিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম বড় চলচ্চিত্র। রোহিত শেঠি- সূর্যবংশীর সঙ্গে তাঁর চলচ্চিত্রটিও মহামারী পরবর্তী হিন্দি বক্স অফিসে হিট গিয়েছিল। যাইহোক, সেলফি মুক্তি পাওয়ার প্রথম দিনে ৩ কোটি এবং দ্বিতীয় দিনে ২ কোটি টাকা উপার্জন করেছে। সব মিলিয়ে ৫ কোটি রোজগার হয়েছে সেলফির।