নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মুক্তি পেল শুক্রবার ১৭ জুন ‘ আয় খুকু আয়’ এই ছবি বুড়ি আর নির্মলের গল্প বলবে। জীবন প্রতি মুহুর্তে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া এক বাবার গল্পে। এই নির্মল আবার বুম্বাদার ভীষণ বড় ভক্ত। মানুষের মনোরঞ্জন করেই সংসার চলে তাঁর। বাবাকে এভাবে দেখে নিজের মধ্যেও শিল্পী হয়ে ওঠার বীজ বপন করে বুড়ি ওরফে নির্মলের মেয়ে। কিন্তু নির্মল যা পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে তা তাঁর মেয়েও নিক এমনটা সে চায় না। বাবার সঙ্গে মেয়ের বেঁধে যায় সংঘাত। বুড়ির সঙ্গে ঘটে যায় দুর্ঘটনা আর তারপরেই সোজা সরল মানুষের পরিবর্তে প্রতিবাদী বাবা হয়ে ওঠেন নির্মল। এই ছবির জন্য সুদূর মুম্বই থেকে শুভেচ্ছা পেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন তাঁর এই ছবির পোস্টার শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
কিন্তু বাস্তব জীবনে বাবা প্রসেনজিৎকে এই ছবির মুক্তির পর বিশেষ বার্তা দিয়েছে ছেলে তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুক। আবার বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও ছেলেকে লিখেছেন এক খোলা চিঠি। প্রসেনজিৎকে বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় সেই চিঠিতে লিখেছেন, প্রস্থেটিক মেকআপে তাঁকে তাঁর দাদুর মত লাগছে। অর্থাৎ বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা রঞ্জিতকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মত। শুধু তাই নয় কাকতলীয়ভাবে তাঁদের দুজনের জন্মদিনও একইদিনে অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর। তাঁর এই ছবিতে যেভাবে মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক, মেয়েকে আগলে রাখা ও কাজের মধ্যে ব্যাস্ততার ফাঁকে সময় দেওয়া এসব ত মধ্যবিত্ত পরিবারেই ঘটে থাকে। সেই ছবিই তুলে ধরেছেন তাঁর ছেলে। একথাও স্বীকার করে নিয়েছেন বাবা বিশ্বজিৎ।
উল্লেখ্য মুম্বইয়ে পাড়ি দেওয়ার পর প্রবীণ অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে এসেছিল আমূল পরিবর্তন। ব্যাক্তিগত জীবনের সেই তানাপোড়েনের স্বীকার হয়েছিলেন সেদিন ছোট্ট বুম্বা আর মাকু। আজ যেন তাঁর ছেলের অভিনয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে বেরিয়ে এল মনের ভিতরের কথাগুলোই।
বাবা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন ছেলে মিশুক। তবে সে যেমন তেমন ছবি নয়। সেই ছবিতে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ পুত্রকে দেখা যাচ্ছে ‘আয় খুকু আয়’ টি-শার্ট পরে থাকতে। ক্যাপশনে লিখেছে সে ”অল দ্য বেস্ট বাবা’।