নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হয়েছিল ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অ্যাওয়ার্ড। সারা বছর ধরে দেশের চলচ্চিত্র জগতে যে সকল তারকারা অবদান রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই সেরার সেরা উঠে এসেছে এই জাতীয় পুরস্কারের তালিকায়। এ বছর দক্ষিণী আর বলিউডের মধ্যে রীতিমতো লড়াই চলল। বলিউডের সবাইকে হারিয়ে দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন পেল সেরা নায়কের খেতাব। তবে সেরা নায়িকার সম্মান বলিউডেরই দখলে।
আলিয়া ভাট এবং কৃতি শ্যানন পেলেন জাতীয় পুরস্কার। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বলিউডে নিজেদেরকে পোক্ত করেছেন অভিনেত্রীরা। আর সেরা চলচ্চিত্রের খেতাব পেল, মাধবনের পরিচালিত নাম্বি রকেট্রি। এছাড়া আঞ্চলিক ভাষায় বাংলা ছবি ‘কালকক্ষ’ পেল জাতীয় পুরস্কার। রাজদীপ পাল এবং শর্মিষ্ঠা মাইতি পরিচালিত ‘এই ছবি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। পরিচালকের কেমন অনুভূতি, জানালেন একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে।
পরিচালক বলেন, “খুবই উত্তেজিত আমি। ভাবতেই পারছি না। ‘কালকক্ষ’-এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছে। প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু দেশের মাটিতে পুরস্কার পাওয়ার তো আনন্দটাই অন্য রকম। জাতীয় পুরস্কারের মতো একটি বিষয়। একদমই কল্পনা করতে পারিনি। আশা তো সবাই করে। তবে এই ভাবে পূর্ণ হবে অবশ্যই কল্পনা করতে পারিনি।” একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিল অরিন্দম শীলের ‘মহানন্দা’। কিন্তু প্রতিযোগীতায় হার হয়েছে সেই ছবির। কালকক্ষের গল্প অনুযায়ী, বিধ্বস্ত মানুষের জীবন, তাঁদের অসহায়তা, মারণ রোগের প্রকোপ এবং চিকিৎসকদের অনস্বীকার্য ভূমিকা, অর্থাৎ করোনার প্রেক্ষাপটেই ছবির গল্প বেঁধেছেন পরিচালক জুটি।