নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আপাতত থিয়েটারের হাত ধরে কাজে ফিরছেন। ‘ফোর্থ বেল’ নামক এক থিয়েটারের দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। সেই দলেরই একটি পুরানো নাটক ‘পি এস ভালোবাসার’ মাধ্যমে ফের কামব্যাক করছেন তিনি। রবি সন্ধ্যায় জ্ঞানমঞ্চে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি। পরিবার, সংসার, সন্তান ও পেশাদারিত্ব, সবটা সামলাবেন কীভাবে অভিনেত্রীর কাছ থেকে জানলেন এই মুহূর্তে ডট কমের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্য।
প্রশ্নঃ কাজ শুরু করার পর পরিবারকে সময় দেওয়া এবং পুরোটা ব্যালেন্স করে চলা, সামলাবেন কী করে?
স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ঃ চেষ্টা করব বাড়ির কাছাকাছি শুটিং রাখার। টালিগঞ্জ চত্বরের কোনও স্টুডিওতেই নতুন কোনও প্রজেক্ট নেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ তাতে নিজের জন্য অনেকটা সময় পাব। আর সিন না থাকলে বাড়ি এসে কিছুটা সময় ছেলেকে দেওয়ার চেষ্টা করব। এতা আমি নই আমার আগেও অনেক সিনিয়র রয়েছেন যাঁদের আমি এমনভাবেই সবটা ব্যালেন্স করতে দেখেছি। আমিও সেভাবেই সবতা ম্যানেজ করার চেষ্টা করব। তবে হ্যাঁ বাড়িতে আমি না থাকলেও ও ওর দাদু- ঠাকুমা সবার মধ্যেই থাকবে ওঁদের কাছেই ও ভীষণ যত্নে থাকবে। অন্য কারও উপর আমাকে ভরসা করতে হবে না। কিন্তু তা সত্বেও প্রতিটা মুহূর্ত আমি ওকে মিস করব। একটা বছর ওকে যেভাবে পেয়েছি তাতে ওর প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করেছি। তাই এগুলো ভেবে একটু তো মন খারাপ হবেই।
প্রশ্নঃ কাজে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ডায়েটের একটা প্রসঙ্গ আসে। সেটা নিয়ে কী ভাবছেন?
স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ঃ কাজে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে এবার ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হবে বৈকি। তবে হ্যাঁ এটা আমার সৌভাগ্য যে আমি অত্যন্ত মোটা হয়ে যাইনি জোনাক হওয়ার পর। তাতে আমার কাজে ফিরতে খুবই সুবিধা হবে। কিন্তু হ্যাঁ কাজে ফিরলে কিছুটা তো শরীরের যত্ন নেওয়ার ব্যাপার থাকেই। সেদিকে অবশ্যই নজর দেব। তবে হ্যাঁ নিজের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পুরোপুরি ডায়েটও এই মুহূর্তে করব না। সবটাই ব্যালেন্স করে চলব যাতে স্ক্রিনেও আমাকে খারাপ দেখতে না লাগে এবং আমার সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকে।
প্রশ্নঃ সবকিছু সামলে সংলাপ কীভাবে সময় দিচ্ছেন ছেলেকে?
স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ঃ সংলাপ ভীষণ ব্যস্ত। অতিমারি পরিস্থিতিতে আমরা সবাই ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছি সব দিক দিয়েই। অনেক নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে আমাদের জীবনে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির মধ্যে সংলাপ অত্যন্ত ব্যাস্ত ছিল। এবং এটাকে আমরা আশীর্বাদস্বরূপ নিয়েছি। তবে এর জন্য ওকেও অনেকটা ত্যাগ করতে হয়েছে। ছেলেকে যতটা সময় দিতে বা কাছে পেতে ও চেয়েছিল ততটা হয়ত দিতে পারেনি। কিন্তু ও ভীষণভাবে দায়িত্ববান। যতটা সম্ভব ও সময় দেওয়ার চেষ্টা করে। আর ছেলেও এখন বাবাকে খুব চিনেছে। বাবার দেখা পেলে সে সব কিছু ভুলে যায়।