নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন কয়েক ধরেই স্বামী শরিফুল রাজের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগে তুলে নেটপাড়ায় হইচই ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের চর্চিত অভিনেত্রী পরীমণি। গতবছরের শেষের দিন পরীমণির দুটি বিস্ফোরক পোস্ট ঘিরে বর্তমানে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে। রাজের সঙ্গে সংসার করবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তারপর থেকেই বিতর্ক তুঙ্গে। রাজ নিজেও পরীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করেছেন।
তবে এর মধ্যেই পরীমণিকে ঘিরে পুরোনো বিতর্ক আবারও জেগে উঠেছে। মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে পরী মণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন সিআইডি কোনও প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারার কারণে ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালত আগামী ১২ মার্চ শুনানির তারিখ ঘোষণা করেছেন। গনবছর ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেছিলেন নাসিরুদ্দিন। মামলাটিতে পরীমণির পাশাপাশি তাঁর আরও দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা সুযোগ বুঝেই ঢাকার নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল সেবন করেন। কিন্তু পরে মূল্য পরিশোধ করেন না। বোতলের দাম চাওয়া হলে পরীমণি, তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করবেন বলে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর তাঁরা সাভারের বোট ক্লাবের ভেতর বসে অ্যালকোহল পান করেন।
এরপর ওই ক্লাবের এক সদস্য তাঁদেরকে ক্লাব ত্যাগ করতে বলায়, পরীমণি তাঁর পরিচিত নাসিরুদ্দিনকে ডাক দিয়ে আরও একটি বসার অনুরোধ করেন। এমনকী পরীমণি একসময়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরুদ্দিনকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল কিনে দিতে বলেন। স্বাভাবিকভাবেই নাসির পরীমণির কথায় রাজি না হওয়ায় তিনি গালমন্দ শুরু করেন। তখন তাঁদের মধ্যে বাদানুবাদের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে পরীমণি নাসিরুদ্দিনকে গ্লাস ও মোবাইল ফোন ছুঁড়ে মারেন। যাতে নাসিরুদ্দিন ভালমতই জখম হন। এইসকল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই পরীমণি পরে তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।