নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রত্যেক বছর ৪ই মে কয়লা খনি দিবস পালন করা হয়ে থাকে।কয়লা উত্তোলনে কয়লা খনি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম এবং উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি দিতে কয়লা খনি শ্রমিক দিবস পালিত হয়।সারা পৃথিবীতে শক্তির প্রয়োজনে কয়লার উপর নির্ভরতা বাড়ছে। সিমেন্ট ও ইস্পাত উৎপাদনে কয়লার চাহিদাও বাড়ছে। কয়লা খনি শ্রমিকরা এক্ষেত্রে সবচেয়ে মূল্যবান এবং অপরিহার্য কর্মীবাহিনী। যারা পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের নীচে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তঁদের প্রত্যেক কটা মুহূর্ত পার করতে হয় এবং প্রায়শই শ্বাসকষ্টের অসুস্থতায় ভুগতে হয়।খনির দুর্ঘটনায় প্রান ও গিয়েছে তাঁদের। তা স্বত্তেও এখনও খনির কালো অন্ধকারে অসহ্য গরম সহ্য করে কয়লা উত্তোলন করছে শ্রমিকেরা।
এই দিনটির তাৎপর্য : ৪ মে শুধুমাত্র কয়লা খনি শ্রমিক দিবস হিসেবেই পরিচিত নয়, এই দিনটি মনে করিয়ে দেয় শিল্প বিপ্লবের কথা। এই দিনটি মনে করিয়ে দেয়, শ্রমিকদের আত্মত্যাগ এবং সাহসিকতার কথা। তীব্র গরমের মধ্যে দিনের পর দিন যেভাবে তারা কাজ করে যান, তাদের সেই সাহসিকতার কথা স্মরণ করার দিন আজ।জাতীয় কয়লা খনি শ্রমিক দিবস, প্রতি বছর তাই পালিত হয়।
কয়লা যদি উত্তোলন না করা হয় তাহলে মানুষের জনজীবন ব্যাহত হয়ে যেতে পারে। কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে বা যে কোনও শিল্প উৎপাদনে একটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই এই দিনটিকে মানুষকে আরও একটি প্রতিজ্ঞা নিতে হবে, কোনও ভাবে বিদ্যুৎ অপচয় করা যাবে না, তবেই জানানো যাবে কয়লা খনি শ্রমিকদের প্রকৃত সম্মান। আমাদের নজর রাখতে হবে অপচয়ের দিকে। তাঁদের এই লড়াইকে সম্মান জানালেই খনি শ্রমিকদের সম্মান জানানো হবে।