নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘুম নিয়ে অনেকের মধ্যে নানান ধারনা রয়েছে। কেউ মনে করে ঘুম কম হলে ওজন ঠিক থাকে। আবার অনেকে মনে করে ঘুম বেশি হলে ওজন বাড়ে। অনেকে বেশিক্ষণ ঘুমোতে পছন্দ করেন। কিছুজন মনে করেন শরীরে মেদ জমলে বেশি ঘুম পায়। এই ধারণা গুলো কিভাবে কাজ করে? ঠিক না ভূল তা দূর করতেই গবেষণা শুরু করা হয়। কিন্তু গবেষণায় যা উঠে এসছে তা জানলে চমকে যাবেন আপনিও।
সম্প্রতি ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব লিডিস ঘুম এবং মেদের সম্পর্ক নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমানে ১৯৮০ সালের তুলনায় ওবেসিটি বা স্থূলত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এতে বেড়েছে টাইপ টু ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা।
এবার আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন !এর সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক কোথায়? আছে আছে, না হলে এমনি এমনি তো আর গবেষণা হয় নি। মোট ১৬১৫ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের উপরে এই গবেষণা চালানো হয়। এ জন্য ১৬১৫ জনের খাদ্যতালিকা এবং গড় ঘুমের সময় নিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে।
‘প্লাস ওয়ান’ নামক জার্নালে গবেষণার ফলও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কম ঘুম মেদ বেড়ে যাওয়ার বড় কারণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা দিনে গড়ে ছয় ঘণ্টা ঘুমোন তাঁদের কোমরের মাপ প্রতি দিন নয় ঘণ্টা ঘুমোনো মানুষের তুলনায় তিন সেন্টিমিটার বেশি। সারকথা হল কম ঘুমোলে ওজন বাড়ে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ডায়াবিটিসের মতো অসুখও বাড়ে। গবেষকদের আরও দাবি, প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপরে নির্ভর করছে তার কতটা ঘুম জরুরি। কিন্তু সাধারণভাবে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ভালো ঘুম প্রয়োজন।
ঘুম বেশি হলে সমস্যা নেই,কিন্তু ঘুম কম হলেই দেখা দিতে পারে হাজারো সমস্যা। নিত্য জীবনে তাই সঠিক রুটিন তৈরি করুন। চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন। ঘুমোনোর আগে চা কফি থেকে দূরে থাকাই ভাল।