নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবার শাসক-বিরোধী দলগুলির মূল অস্ত্র তারকারা। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলিতে অভিষেক করেছেন টলিউড থেকে বলিউডের অনেক তারকারা। যার মধ্যে আছেন, রচনা বন্দোপাধ্যায়, কঙ্গনা রানাউত, অরুণ গোভিল-সহ একাধিক তারকা। তবে বাংলার শাসকদলের এবার অন্যতম প্রধান অস্ত্র বাংলার ‘দিদি নং ১’ রচনা বন্দোপাধ্যায়। হুগলি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ঠাকুর পুজো ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রচার পর্ব শুরু করেছেন। আর প্রচারে নেমে সাংবাদিকদের একাধিক কঠিন প্রশ্নেরও সম্মুখীন হচ্ছেন নায়িকা! কিন্তু বরাবরই স্পষ্টবাদী তিনি। কারও কোনও ট্রোল তাঁকে দূর্বল করতে পারবে না। যাই হোক, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী এই প্রথম নয়!
এর আগে ২০১৯ সালে মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং জয়ীও হয়েছিলেন। কিন্তু এ বছর তাঁরা টিকিট পাননি। কেউ আবার স্বেচ্ছায় রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে যাই বলুন, মিমি বা নুসরত রাজনীতি ছেড়ে দিলেও তাঁরা রচনার সিনিয়র বলাই চলে! তাহলে কী প্রাক্তন সাংসদ দের থেকে কোনও সাহায্য নিচ্ছেন রচনা? না একেবারেই নয়! তিনি রাজনীতিতে তাঁদের থেকে জুনিয়র হলেও মূল পেশায় অর্থাৎ অভিনয়ে তাঁদের সিনিয়র। তাই এমন কথা তাঁর মাথাতেও আসেনা। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে যে একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য!
বিরোধী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও রাজনীতিতে বেশ দাপিয়ে বেড়ায়। তাহলে কি মিমি এবং নুসরতের থেকে তিনি সাহায্য নেবেন? এমতাবস্থায় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রচনা জানান, সব কিছু খুব তাড়াতাড়িই হয়ে গিয়েছে। চটজলদি রাজনীতি তে আসার সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাঁকে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০১১ সাল থেকে তিনি চেনেন। তাই দিদি তাঁর পাশে রয়েছেন এটাই বড় ব্যাপার। ইন্ডাস্ট্রির সকলেই তাঁর বন্ধু। যদি মিমি-নুসরতের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় তাহলে অবশ্যই তিনি জানতে চাইবেন কেন তাঁরা মমতা ‘দিদি’র সঙ্গে নেই। তবে ওদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে তাঁর চিন্তাভাবনা নাও মিলতে পারে। তিনি রাজনীতিতে আসবেন কি না সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার! তাতে তিনি কারো থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।