নিজস্ব প্রতিনিধিঃ একের পর এক গ্ল্যামার জগতের উঠতি মডেলদের রহস্যজনক মৃত্যু আঙুল তুলে বুঝিয়ে দিয়েছে যে লাইমলাইটে থাকার বাইরেও একটা অন্ধকার অবসাদময় জীবন রয়েছে। আর তা থেকেই একের পর এক মৃত্যু। প্রথমে গরফায় পল্লবী দে তারপর নাগেরবাজারে বিদিশা দে মজুমদার তাঁর কয়েকদিনের ব্যবধানে পাটুলি থেকে উদ্ধার হয় মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ এবং রবিবার কসবা থেকে উদ্ধার হয় সরস্বতী দাসের ঝুলন্ত দেহ। একের পর এক এই ধরণের ঘটনার পর ইন্ডাস্ট্রির নবাগতাদের নতুন পথ দেখাতে উদ্যোগ নিল মহিলা কমিশন।
মহিলা কমিশনের অধ্যক্ষ লীনা গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার কমিশনের পক্ষ থেকে আর্টিস্ট ফোরামকে চিঠি মারফত একটি সভা আয়োজন করার কথা জানানো হবে। সেই সভা বা জমায়েতে থাকবে কমিশন, থাকবে চিকিৎসকের দল এবং অবশ্যই আর্টিস্ট ফোরাম। ইন্ডাস্ট্রিতে আসা নব্যদের মনের চিকিৎসা করা হবে। থাকবে কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা সঙ্গে তাঁদের এটাও জানানো হবে ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব দিকটা সম্পর্কে। স্বপ্ন চাইলেই যে পূরণ হয়ে যায় না আর তা পূরণ না হওয়া মানেই নিজেকে শেষ করে দেওয়া নয় তাঁদের তা জানা খুব দরকার। এবিষয়ে লিনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবেন বাদশা মৈত্রও। উঠতি প্রজন্মের যেন কাজের মাঝে অবসাদ আর তা থেকে মাথায় কুচিন্তা না আসে, তাঁরা যাতে ভুল পথে চালিত না হয় সেই নিয়েও কথা বলা হবে এই সভাতে।
লীনা গঙ্গপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, যেদিন অভিনেত্রী পল্লবী দে আত্মহত্যা করে তার ঠিক পরের দিনই তাঁর কাছে অভিনেত্রীর আসার কথা ছিল। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় আক্ষেপের সুর যে তাঁর আগেই সব শেষ হয়ে গেল। আর তাই একের পর এক এই রহস্যমৃত্যু যাতে আগামীতে আর না হয় তাই এখন থেকেই তার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ইন্ডাস্ট্রিটা যে আসলে কেমন তা জানানো হবে নতুন প্রজন্মকে।