নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: গত সপ্তাহেই অভিষেক-ঐশ্বর্য কন্যা আরাধ্যা বচ্চনের অভিযোগের ভিত্তিতে মিথ্যে খবর রটানোর জেরে কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট থেকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট থেকে ইউটিউব চ্যানেলগুলি এবং GOOGLE-কে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে আরাধ্যার নামে মিথ্যে ভিডিও বা খবরগুলি সরিয়ে ফেলা হয়। সেখানে আরাধ্যার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একাধিক মিথ্যে খবর রটানো হয়েছিল। ১১ বছর বয়সী আরাধ্যাকে যখনই দেখা যায়, তখনই তিনি মায়ের হাত ধরে চলাফেরা করতেই দেখা যায়। তাঁর সুন্দরী মা ঐশ্বর্যও মেয়ের পাপারাজ্জিদের দেখলেই মেয়েকে আগলে ধরে রাখেন। সম্প্রতি মুম্বইতে ‘পন্ন্যিয়িণ সেলভান 2’ -এর ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে এই বিষয়ে প্রথম মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
আরাধ্যার বিষয়ে “মিথ্যা বা অপ্রয়োজনীয় লেখা”কে “সংবেদনশীল” বলে অভিহিত করেছেন তিনি। সম্প্রতি আরাধ্যার স্বাস্থ্য সম্পর্কে উল্টোবাল্টা খবর রটানো হয়েছে, বলা হয়েছে আরাধ্যা নাকি আর বেশিদিন বাঁচবে না। গত ২০ এপ্রিল দিল্লি হাইকোর্ট বেশ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলকে আরাধ্যার স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তু প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। এদিন এই প্রেস কনফারেন্সে, ঐশ্বর্য বলেছিলেন, “আমাদের উত্সাহিত করতে মিথ্যা লেখা বা অপ্রয়োজনীয় লেখার কোনও মানেই হয়না, আরাধ্যার বিষয়ে ভুল খবর রটানো খুবই সংবেদনশীল।”
ঐশ্বর্য এদিন তাঁর আইকনিক চলচ্চিত্র ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ (1999) ছবিতে নন্দিনী চরিত্রের বিষয়েও বলেন, “কাকতালীয়। হাম দিল দে চুকে সানাম-এ নন্দিনী খুব স্মরণীয় ছিল। তিনি মানুষের হৃদয়ে বাস করেন এবং আমি এতটাই কৃতজ্ঞ যে আমি তখন নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি। এবং আজ আমি আবারও মণি গেরুর পোন্নিয়ান সেলভানে নন্দিনী চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি। এর জন্য আমি খুব কৃতজ্ঞ।” ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ১৯৯৭ সালে মণি রত্নমের তামিল চলচ্চিত্র ইরুভারের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথমে বলিউডে কাজ না পেলে তিনি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র করা শুরু করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে ঐশ্বর্য বলেন, “আমি সব ভাষার সিনেমাকে ভারতীয় সিনেমা হিসেবে দেখি। আমি এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করি না যে এখানে কোন কাজ নেই তাই সেখানে (দক্ষিণ) যান, এই সমস্ত কথা।’