নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রের কালো কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিগত এক বছর ধরে লড়ছেন দেশের কৃষক শ্রেণীর মানুষেরা। আন্দোলনকারী এই কৃষকদের সিংহভাগই পঞ্জাবের বাসিন্দা। পঞ্জাবের কৃষক নেতারাই একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এই কৃষক আন্দোলনেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে অক্ষয় কুমার নরেন্দ্র মোদির স্নেহের পাত্র। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নেতা নেতৃত্বকে সর্বদা খুশি রাখতেই ব্যস্ত। তাই এই সুপারস্টারের ওপর বেজায় চটেছেন কৃষক নেতারা। এমনকি অভিনেতা অক্ষয় কুমারের আগামী সিনেমা ‘সূর্যবংশী’ পঞ্জাবে কেউ দেখবেন না বলেও জানিয়েছেন।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই সিনেমা হলে মুক্তি পেতে চলেছে রোহিত শেঠি পরিচালিত এবং অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘সূর্যবংশী’। যদিও ওই সিনেমায় অক্ষয় ছাড়াও রয়েছেন অজয় দেবগণ, ক্যাটরিনা কাইফ এবং রনভীর সিংয়ের মতো সুপারস্টাররা। তবে অক্ষয়কেই এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে দেখতে পাওয়া যাবে। আর তাই পঞ্জাবে কার্যত ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে ‘সূর্যবংশী’কে। এমনকি সিনেমার পোস্টার যেখানে যেখানে লাগানো হয়েছিল সেই সমস্ত পোস্টারও রাগে ছিঁড়ে ফেলেছেন কৃষক দলের একাংশ। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে কৃষক নেতাদের একাংশ রীতিমতো পঞ্জাব প্রশাসনকে জোর করছেন যাতে অক্ষয়ের আগামী এই সিনেমা পঞ্জাবের কোনও সিনেমা হলে রিলিজ না করা হয়।
কৃষক নেতাদের দাবি, যতদিন না কেন্দ্র তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে কৃষি আইন তুলে না নেন ততদিন পর্যন্ত তাঁরা অক্ষয় কুমারের কোনও সিনেমা দেখবেন না। কৃষক সংগঠনের জেলা সভাপতি স্মরণ ধুগ্গা ইতিমধ্যেই এই সিনেমার বিরুদ্ধে শহীদ উধম সিং পার্ক থেকে স্মরণ সিনেমাহল পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করার কথাও ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯-এর নভেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কালো ৩ কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পঞ্জাব এবং হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অবস্থান-বিক্ষোভ চলার পরেও কৃষকদের সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। আর তাই কেন্দ্রকে আরও কিছুটা চাপে ফেলতে এবার নতুন পন্থা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষক সংগঠনগুলি।
