নিজস্ব প্রতিনিধি: পয়লা বৈশাখের দিন সুখবরটি ঘোষণা করেছিলেন প্রবীণ অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর বড় বৌমা ঋদ্ধিমা ঘোষ। মা হওয়ার সময়েই মা নেই কাছে অভিনেত্রীর। তাই শ্বশুরবাড়ি এখন তাঁর সবকিছু, এক মুহূর্ত বৌমাকে কাছ ছাড়া করছেন না গৌরবের বাবা-মা। বলা চলে, অর্জুনের স্ত্রী বাদে গোটা চক্রবর্তী পরিবারই টলিউডের সঙ্গে ওতপ্রতো যুক্ত। সবাই টলিউডের দাপুটে তারকা। ধারাবাহিক হোক বা সিনেমা, ওয়েবসিরিজ সবেতেই দেখা পাওয়া যায় সব্যসাচী পরিবারের কাউকে না কাউকেই। ঋদ্ধিমাও একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী টলিউডের, ধারাবাহিক নয়, সিনেমা আর ওয়েবসিরিজের মাধ্যমেই তাঁর জনপ্রিয়তা। মা হওয়ার মাস কয়েক আগে থেকেই অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে নেন তিনি।
তখন থেকেই জল্পনা, অবশেষে পয়লা বৈশাখের দিন গৌরব-ঋদ্ধিমা যৌথভাবে তাঁদের সন্তান আসার খবরটি জানায়। সব্যসাচীর ছোট ছেলে অর্জুন অনেকে আগেই বাবা হয়ে গেলেও, বিয়ের প্রায় ৬ বছরের মাথায় বাবা-মা হতে চলেছেন গৌরব-ঋদ্ধিমা। গৌরবকে শেষ দেখা গিয়েছে, রাজ চক্রবর্তীর আবার প্রলয় সিরিজে। তবে সময় প্রায় হয়ে এল। আর কয়েক দিনের মধ্যেই দুই থেকে তিন হবেন তারকা দম্পতি, চক্রবর্তী পরিবারের নতুন সদস্য। আর পরিবারে নতুন অতিথিকে বরণ করার জন্য তৈরি দাদু, ঠাকুমা কাকা, কাকিমারা। এদিকে প্রথম বার বাবা-মা হওয়ার উত্তেজনাও তুঙ্গে হবু বাবা-মায়ের। রীতি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার হয়ে গেল ঋদ্ধিমার সাধের অনুষ্ঠান। ২০২১ সালেই জন্মদাত্রী মাকে হারিয়েছেন ঋদ্ধিমা। তাই তাঁর সবটা জুড়ে রয়েছে শ্বশুরবাড়ির সকলে।
সাধের অনুষ্ঠানে একেবারে সাবেকি সাজে সেজেছিলেন নায়িকা। সোনালি ব্লাউজের সঙ্গে মানানসই লাল সিল্কের শাড়ি। সঙ্গে সোনার গয়না, সাদা ফুলে জড়ানো তাঁর খোঁপা। পরিবারের সবার এদিন একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হলেন অভিনেত্রী। এ দিন মায়ের ছবি পাশে নিয়েই সম্পন্ন হল তাঁর সাধের অনু্ষ্ঠান। তবে বৌমার সাধের সমস্ত আয়োজন করেছেন সব্যসাচী ও তাঁর বেয়ান। শুটিংয়ের ব্যস্ততার মধ্যে জমিয়ে পালন করলেন তাঁরা বৌমার সাধের অনুষ্ঠান। খাওয়াদাওয়া থেকে আয়োজন— কী না ছিল। গৌরবের কথায়, তাঁর বাবা আর ঋদ্ধিমার বাবা মিলে আয়োজন করেছিলেন। খুবই উত্তেজিত সকলে। প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করছেন তারা। গতকাল বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আয়োজন করেছিলেন। এদিকে এ দিন মায়ের অনুপস্থিতি বুঝতে দেননি নায়িকার দিদা। নিজের হাতে নাতনিকে খাইয়ে দিয়েছেন খাবার। সম্ভবত এ মাসেই সন্তানের জন্ম দেবেন ঋদ্ধিমা।