নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের আলোচিত-সমালোচিত গায়ক আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। যাঁকে নিয়ে নেটপাড়ায় হাসি খোরাকের শেষ নেই। সব সময়েই চলছে গসিপ। এক একটা গানকে নকল করে নেটপাড়ায় প্রতি মুহূর্তে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তিনি। কয়েকবার পুলিশের দ্বারা আটকও হয়েছেন তিনি, কিন্তু কিছুতেই কোনও শিক্ষা হয়নি তাঁর। এবার রাজনৈতিকে ঝুঁকছেন হিরো আলম। সামাজিক মাধ্যমে বিনোদনমূলক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেই পরিচিতি লাভ তাঁর। এখন সাধারণ মানুষের জীবনে প্রকৃত হিরোর ভূমিকা পালন করতে চান তিনি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধারণের পাশে দাঁড়িয়ে সমাজের জন্যে কাজ করতে চান হিরো। বেশ কয়েকদিন প্রার্থী নির্বাচনে আবদ্ধ ছিলেন তিনি, যে কারণে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন অভিনেতা।
তবে এবার আর ঝামেলা নয়, অবশেষে প্রার্থী হয়ে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে লড়বেন তিনি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দুটি আসনেই নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচিনে জয়ী হলে কী করবেন তিনি? সেই নিয়েই সম্প্রতি একটি সংবাদ সাক্ষাৎকারে মনের কিছু ইচ্ছের কথা জানালেন হিরো আলম। নির্বাচনে জিতলে তিনি এমপি হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। অভিনেতার কথায়, “অভিনেতা থেকে নেতা হওয়ার অনুপ্রেরণা সাধারণ মানুষ। এমপি হলে জনগণের সেবা করব। নেতা হলে গরিবদের জন্যে বিশেষ কাজ করব। তাঁদের সন্তানদের বিনামূল্যে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দেব। বিদুৎ, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করব, গরিবের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।” না এখানেই শেষ নয়, রয়েছে আরও চমক।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের কারণ জানতে চাওয়া হলে অভিনেতা বলেন, “জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য আবেদন করলেও সাড়া পাইনি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়ব।” পাশাপাশি নেতা হলে অভিনয়ে তাঁকে দেখা যাবে কিনা, সেই বিষয়ে হিরো জানালেন, অভিনয়ের জন্যে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। তাই অভিনয় ছেড়ে থাকা সম্ভব নয়। নির্বাচিত হলে, অভিনয়, সমাজের জন্যে কাজ দুটিকে সমন্বয় করেই চলবেন তিনি। এমপি হওয়ার পরের ইচ্ছা সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে হিরো বলেন, “আগে এমপি হওয়ার ইচ্ছা, পরে সুযোগ পেলে মন্ত্রী হব। এমপি হলে বগুড়ায় টিভি সেন্টার বানাব। বগুড়ার কাহালুর বেতার কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করব। দরিদ্র শিল্পীদের সহায়তা দেব।”