নিজস্ব প্রতিনিধি: বছরের শুরুতেই হলিউডের পাওয়ারফুল দম্পতি অ্যাম্বার হার্ড এবং জনি ডেপ উচ্চ-প্রোফাইল মানহানির মামলায় জড়িয়ে রয়েছেন। প্রথমে জনি ডেপ, অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে জিতলেও মাস কয়েক আগে উল্টে অ্যাম্বার হার্ডও জনির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। কয়েক মাস ধরে আইনি লড়াইয়ের পর সোমবার, অ্যাম্বার ঘোষণা করেছেন যে, তিনি প্রাক্তন স্বামী জনিকে চিরকালের মতো নিষ্পত্তি দিতে চান। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, হার্ড লিখেছেন যে, “আমার বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্বামীর দায়ের করা মানহানির মামলার নিষ্পত্তির জন্যে আমি অনেক চিন্তাভাবনা করলাম। এবার আমি একটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা বলা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমি কখনই এটি বেছে নিইনি, আমি আমার সত্যকে রক্ষা করেছি। সেটা করতে গিয়েই আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি যে অপমানের সম্মুখীন হয়েছি তা নারীদের পরবর্ধিত সংস্করণ। আমার আর জটিলতার মধ্যে থাকতে চাইনা।”
তিনি মামলাটির সমালোচনা করে বলেন, “আমি আমেরিকান আইনি ব্যবস্থায় বিশ্বাস হারিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইংল্যান্ডের আদালতে অনেক বেশি সম্মানের জন্যে মামলা লড়া যায়।” আসলে ভার্জিনিয়ার আদালতে জনির বিরুদ্ধে মামলা লড়তে গিয়ে সমস্ত সম্পত্তি এবং সঞ্চয় শেষ হয়ে গিয়েছে অ্যাকোয়াম্যান নায়িকার। মামলায় জিতে জনি তাঁর কাছ থেকে ১১৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। অথবা মামলা তুলে নিতে বলেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু অ্যাম্বার মামলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এমনকী একারণে তিনি নাকি প্রাক্তন প্রেমিক তথা ধনকুবের ইলন মাস্কের কাছেও হাত পেতেছিলেন। কিন্তু ইলন রাজি হয়নি।
অতএব স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি বিক্রি করে মামলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যাম্বার। কিন্তু আর সম্ভব নয়। অ্যাম্বারের বক্তব্য, “জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে বিচার হলে আমি কোনও দিক দিয়েই দাঁড়াতে পারব না। আমি ক্লান্ত। নতুন করে তথ্যপ্রমাণ সাজিয়ে লড়তে পারব না। সেই মানসিকতা নেই।” তাই নিজের মতো বাঁচার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী। তাই মামলার নিষ্পত্তি দিলেন অ্যাম্বার। এদিকে জনি ডিজনির ‘পাইরৈটস অফ দ্য ক্যারাবিয়ান’-এ আর ফিরতে রাজি নন। তবুও ছবির নির্মাতারা অভিনেতাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। না ফিরলে জনির চরিত্রটিকে মেরে ফেলা হবে।