এই মুহূর্তে




‘কলকাতার পুজোগুলিতে থিমরূপে মাকে দেখতে একদম ভাল লাগেনা’: রঞ্জিত মল্লিক




সুস্মিতা ঘোষ: রঞ্জিত মল্লিক। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন অন্যতম অইকন। এখনও তাঁর সেই বেল্টের মার, মিম হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে ফিরে বেড়ায়। উত্তমকুমার-এর যুগ থেকে টলিউডে রাজত্ব করছেন আইকন। নায়কের চরিত্রে খুব একটা বেশি অভিনয়ের সুযোগ না পেলেও তাঁকে পার্শ্ব চরিত্রে দেখতেই অভ্যস্ত বাঙালি দর্শক। বাঙালির ইন্ডাস্ট্রির সুদিন যদি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জন্যে ফিরে থাকে, তাহলে তার অন্যতম ভাগীদার হলেন রঞ্জিত মল্লিক। তাঁর দেওয়া একাধিক সুপারহিট সিনেমা এখনও বাঙালির প্রতিদিন দুপুরবেলার সাথী। আজও টিভির পর্দায় তাঁকে দেখতে বসে যান সিনে প্রেমীরা। তিনি পর্দায় এলে এখনও রিমোট দিয়ে অন্য কোনও চ্যানেল ঘোরাতে ইচ্ছে করেনা মা কাকিমাদের।

যাই হোক, আর ৬ দিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর। কলকাতায় রঞ্জিত মল্লিকের বাড়ির পুজো এখনও গোটা দেশে বিখ্যাত। দেখতে দেখতে ১০০ বছর পেরিয়েছে ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির পুজো। আজও তাঁদের বাড়ির পুজো একই নিয়মে গাঁথা। সম্প্রতি ‘এই মুহূর্তে’-টিম মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাস জানতে পৌঁছে গিয়েছিল রঞ্জিত মল্লিকের কাছে। তবে মুখোমুখি দেখা নয়, আপাততঃ ফোনেই তাঁর সঙ্গে খানিকক্ষণ গল্পে মেতে উঠলাম আমরা। মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজোর নানা ইতিহাস জানালেন তিনি।

প্রথমেই বললেন, ‘শুধু দুর্গা না, জগদ্ধাত্রী পুজো বাদে সব পুজোই তাঁদের বাড়ি হয়। পুজোর চারটে দিন পুরো গমগম করে মল্লিক বাড়ি। তবে আমি গল্ফগ্রীন থেকে আসা যাওয়া করি। ঠাকুর আমাদের ঠাকুর দালানে তৈরি হয়। এই সময় আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজন বিদেশ থেকে আসেন। একেবারে পুনর্মিলন হয়। দারুণ মজায় কাটে।’ পুজোর খাওয়া-দাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুজোর এই কটা দিন আমাদের বাড়িতে কোনও আমিল ঢুকবে না। তবে মায়ের বিসর্জনের পর জমিয়ে পেটপুজো হয়। যেখানে মেটের চচ্চড়ি বিশেষত্ব। যা নিয়ে একেবারে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। তবে মা চলে যাওয়ার একটি বিরহ যন্ত্রণা থাকেই।’ কলকাতার থিম পুজো নিয়ে কি বলবেন, ‘আমার থিম পুজো ভালো লাগে না এত বলব না, কিন্তু দুর্গা মাকে থিমরূপে দেখতে একেবারেই ভালো লাগেনা।’ কন্যা কোয়েল মল্লিক কী থাকেন এই সময় বাপের বাড়ি? ‘না মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে যাতায়াত করে, আমিও তাই, নাতিকে নিয়েই সময় কেটে যায়।’

পুজোর সময় আপনার মনে হয় বাংলা ছবির মুক্তি কমে যাচ্ছে, মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? অভিনেতার উত্তর, ‘না আমি মনে করিনা। এবারই তো কত ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আমার মেয়ের মিতিন মাসি আছে তার মধ্যে। আমি জানি খুব ভালো হবে মেয়ের ছবি। আমার শুভকামনা।’ কিছুদিন আগেই আপনার থ্রিলার ছবি তারকার মৃত্যু রিলিজ করেছে, এই বয়সেই action ছবি করে যাচ্ছেন, এত স্ট্যামিনা কোথায় পান? নবাব তারকার উত্তর, ‘মানুষের ভালোবাসা’। মা চলে গেলে দুঃখ হয়? ‘হ্যাঁ কান্না পেয়ে যায়। তবে মাকে তো যেতেই হবে, মা না গেলে পরের বছর কী করে আসবে!’ এই মুহূর্তে পরিবারকে জানাই পুজো সবার অনেক ভালো কাটুক। সবাইকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা।  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুধু ‘পুষ্পা-২’ নয়, হাজার কোটির বেশি ব্যবসা করেছে আরও ৭ ভারতীয় সিনেমা

দীর্ঘদিনের প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন সেলেনা গোমেজ

দীর্ঘদিনের প্রেমিককে বিয়ে করলেন কীর্তি সুরেশ, গোয়ায় হল তাঁদের শুভ পরিণয় সম্পন্ন

বিয়ের একবছরের মধ্যেই মা হতে চলেছেন শ্রীপর্ণা, খবরটি কি সত্যি না ভুয়ো?

নাগা-শোভিতা থেকে সুহানা, আলিয়ার বিয়েতে ঐশ্বর্যকে ছাড়া একাই হাজির অভিষেক

লড়াই শেষ, না ফেরার দেশে ওপার বাংলার প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর