নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দ্রকোনা ও কৃষ্ণগঞ্জ: রাজ্যের সাথে সাথে জেলা জুড়ে চলছে প্রবল খড়া। বৃষ্টির দেখা নেই। জমিতে চাষের ফসল পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন জলস্তর ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে তেমনি অনাবৃষ্টিতে চাষীদের ফসল প্রায় ধ্বংসের মুখে। জেলা জুড়ে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও মাঠে থেমে নেই চাষীদের কাজ। গাছ রোপন থেকে শুরু করে জমির পরিচর্যা সবই চলছে এই দাবদাহের(Heat Weave) মধ্যে। বৃষ্টি কবে হবে? তা অজানা। তারই মধ্যে ফসল বাঁচানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা মাঠ ঘাটের চাষীদের। এটাই যে তাদের প্রধান রুটি রুজি।
আর বৃষ্টি(Rain) না হলে একদিকে যেমন ফসলের ক্ষতি, অন্যদিকে ঋণ ধার করে চাষাবাদ করা একেবারে জলে চলে যাবে।। প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হবে চাষিরা। আর এমনই দুশ্চিন্তার ছবি দেখা গেল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায়। সেখানকার চাষিদের বক্তব্য একটাই বৃষ্টি চাই। না হলে পরিবার নিয়ে পথে বসে যেতে হবে। এমন খড়ায় কোনও ফসল টেকানো যাচ্ছে না। তাই ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা বৃষ্টি চাই। অন্যদিকে,পানীয় জল না মেলায় রাজ্য সড়ক(State High way) অবরোধ করে বিক্ষোভ। PHE এর পাইপলাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের সময়। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যা। ৯ মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় জানিও কোন সূরাহা হয়নি তাই গ্রামের মানুষজন রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নাম্বার ব্লকের কোচগেরিয়া গ্রামের । দীর্ঘক্ষণ অবরোধের জেরে রাস্তায় দেখা যায় তীব্র যানজট অসুবিধার মুখে পড়তে হয় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস সহ পন্যবাহী ট্রাকগুলি। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে পৌঁছায় চন্দ্রকোনা থানা (Chandrakona P,S.)ও রামজীবনপুর আউটপোস্টের পুলিশ। পুলিশের আশ্বাস পেলে গ্রামবাসীরা তুলে নেয় বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের দাবি তাদের পানীয় জলের পাইপলাইন দ্রুত ঠিক না করা হলে তারা আবার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাবার হুঁশিয়ারি দেন।