এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘মতুয়াদের ঠকিয়ে চলেছে বিজেপি, চাকদা থেকে মমতার বার্তা

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) আগেও তিনি এসেছেন। ক্যা মানে Citizenship Amendment Act, 2019 বা CAA লাগু হওয়ার পরেও তিনি এসেছেন। বরাভয়ও দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি থাকতে কারও ভয়ের কিছুই নেই। এদিনই সেই বরাভয় দিলেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে অশান্তির নেপথ্যে থাকা কারিগরদের দিল্লি থেকে উৎখাতের বার্তাও দিলেন তিনি। নজরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বাংলা সহ দেশের নামা প্রান্তে বসবাস করা মতুয়া সমাজের(Matua Society) মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্বের দাবি জানিয়ে এসেছেন। বিজেপি(BJP) তাঁদের সেই নাগরিকত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করেছে। বিজেপিকে বিশ্বাস করেই উনিশের লোকসভা এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট গিয়েছিল পদ্মের দখলে। রানাঘাট ও বনগাঁ, রাজ্যের মতুয়া অধ্যুষিত এই দুই লোকসভা কেন্দ্রই উনিশের ভোটে গিয়েছিল বিজেপির দখলে। একুশেও এই দুই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ১৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১২টিতেই জয় পায় বিজেপি। কিন্তু বিনিময়ে মতুয়ারা পান CAA, শর্তসাপেক্ষ নাগরিকত্ব। আবেদন করলেই বিদেশীর তকমা। সেই মতুয়া সমাজকেই এদিন নতুন করে বার্তা দিলেন মমতা।

রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর সমর্থনে এদিন নদিয়া জেলার চাকদা ও বীরনগরে দুটি সভা করেন মমতা। এর মধ্যে চাকদা থেকেই তিনি জোরালো বার্তা দেন মতুয়াদের উদ্দেশ্যে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি তো মতুয়াদের ঠকিয়ে চলেছে। ২০১৪ সালে বলল মতুয়া ভোট দাও, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেব। ২০১৯-এও বলল। ২০২১ সালেও বলল। এখন বলল ভোট দাও, ক্যা করে দেব। কেউ যায়নি। যে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি করে দেবে। লজ্জা থাকলে বলতাম দড়ি, কলসী দিলাম, জল তুলে নিয়ে এসো। বড়মা মারা গিয়েছেন ক বছর আগে। যখন অসুস্থ হতেন, বালু গিয়ে বলত, দিদি বড়মা অসুস্থ। আমি বলতাম বেলভিউতে ভর্তি কর। কেউ খোঁজ রাখত না। আমি বড়মার কাছে বার বার গেছি। ছাত্র-যুব রাজনীতির সময় থেকে আমি নিয়ে যেতাম হাসপাতালে। মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির উন্নয়ন করলাম। হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্প করে দিয়েছি। বড়মাকে বঙ্গ বিভূষণ দিয়েছিলাম। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি দিয়েছি। নমশূদ্র বিকাশ পরিষদ করেছি। গাইঘাটা-ঠাকুরনাগর পর্যন্ত রাস্তা করেছি। গাইঘাটায় সরকারি কলেজ করেছি। ফুলচাষীদের জন্য ফুলবাজার করেছি। গাইঘাটায় আইটিআই, পথসাথী-সহ অনেক কিছু করেছি। তারপরেও আপনারা বিজেপিকে বিশ্বাস করে ভোট পেলেন। কিন্তু কী পেলেন বলুন তো!’

এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘আমার প্রতি বিশ্বাস রয়েছে আপনাদের? যদি থাকে তাহলে বলবো আপনাদের কেউ তাড়াতে পারবে না। অসমে যা হয়েছে, বাংলায় তা হবে না। আগামী দিন বাংলায় কেউ উদ্বাস্তু থাকবেন না। আগামী দিনে সকলে জমির দলিল পাবেন। রানাঘাটে ২৭টি কলোনিকে জমির দলিল দেওয়া হয়েছে। তাই আমার ওপর রাগ দেখায়। টাকা বন্ধ করে। আমার কিছু যায়-আসে না। আমরা সকলে নাগরিক। কেউ পড়াশোনা করেন। চাষের জমি রয়েছে। ভোট দেন সকলে। ভোটের সময় তো কেউ বলেনি। এখন বলছে দরখাস্ত করো। ওরা ভয় দেখাবে। চমকাবে। আমরা যা করছি করে যাব। সকাল সকাল ভোট দিন। ক্যাতে সই করবেন না। আর একটা ভয়ঙ্কর জিনিস করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তাতে জনজাতিদের অস্তিত্বই থাকবে না। তবুও কাউকে ভয় পাবেন না। বিজেপিকে দেশ থেকে করতে হবে খালি। দেশ, মানুষ, সংবিধান, মতুয়া, সংখ্যালঘু, মুসলমান, হিন্দুদের বাঁচান। আমরা যেন শান্তির পথে থাকতে পারি।’   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভরতপুরে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

মোদির সভায় না যেতে কুড়মিদের বার্তা অজিত মাহাতোর, বিপাকে বিজেপি

মমতাকে নিয়ে মন্তব্য করায় অধীরের উপরে চটেছেন খাড়গে

ভোট বড় দায়, বামেদের মুখে ঝামা ঘষে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশে বৃন্দা

তাপপ্রবাহের মাঝেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে  ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের  

স্কুল শিক্ষকেরা হতে পারবেন না প্রার্থীর Counting Agent

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর