নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনেতা রাজপাল যাদব, বর্তমানে প্রজন্মের বলিউডের নামকরা কমিক অভিনেতাদের মধ্যে একজন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ব্লকবাস্টার। কেরিয়ারে সফল হলেও এই অভিনেতার ব্যক্তিগত একেবারেই সুখের নয়। সম্প্রতি নিজের জীবনের একটি ট্র্যাজেডি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। জানালেন ভয়াবহ তথ্য। সম্প্রতি দ্য লালানটপের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানালেন, তাঁর এই ট্র্যাজেডিটি এমন একটি বয়সে তাঁকে আঘাত করেছিল, যখন তিনি আবেগের ওজন সামলাতে সক্ষম ছিলেন না। অভিনেতা বলেন মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেছিলেন, যেহেতু তখন তিনি চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন, তাই গ্রামের কথা শুনে তাঁকে বিয়ে করতে হয়।
তাঁর কথায়, “আমাদের গ্রামে একজন ২০ বছর বয়সী মানুষ যদি চাকরিজীবী হয়, লোকেরা তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য করত। তাই আমার বাবাও আমার বিয়ে দিয়েছিলেন। আমার প্রথম স্ত্রী, যখন বাচ্চা প্রসব করে, তখনই সে মারা যায়। আমার পরের দিন হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল, কিন্তু আমার সঙ্গে আর তাঁর দেখা হয়নি। আমি লাশ কাঁধে নিয়ে আমার স্ত্রীর দাহ করি। আমাকে একটি কন্যা সন্তান উপহার দিয়ে যায় সে। আমার পরিবারকে, আমার মাকে, আমার ফুফুকে ধন্যবাদ, যে আমার মেয়ের কখনও মা নেই বলে মনে হয়নি,সবার অনেক ভালোবাসায় বড় হয়েছে সে।”
১৯৯১ সালে তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার ১৩ বছর পর রাজপাল একজন অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। এনএসডিতে পড়াশোনা করে, প্রথমে টিভি এবং চলচ্চিত্রে কাজ করেন তিনি। এরপর ২০০০ সালে, তাঁর চলচ্চিত্র জঙ্গল মুক্তি পায়। “এরপর আমার বয়স যখন ৩১, তখন আমি রাধার সঙ্গে দেখা করি। ২০০১ সালে হিরোর শুটিং করতে গিয়ে আমাদের আলাপ। এরপর আমরা ২০০৩ সালে বিয়ে করি। রাধা আমার পরিবারের সঙ্গে সম্পূর্ণ খাপ খাইয়ে নিয়েছিল। আমার মেয়েকে মায়ের মতো মানুষ করে। আমি কখনো আমার স্ত্রীকে শাড়ি পরতে বলিনি। আমি আমার মায়ের সঙ্গে যেভাবে কথা বলি, আমার স্ত্রীও তাঁর সঙ্গে সেভাবে কথা বলে। আমার গ্রামের সঙ্গে মিশে গিয়েছে সে। “আমার গুরু, আমার বাবা-মায়ের পরে, যিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন করেছেন তিনি হলেন আমার স্ত্রী, 100 শতাংশ। রাধাও আমার প্রথম স্ত্রীর কন্যাকে নিজের মতো করে বড় করেছে। আমার মেয়ে এখন লখনউতে সংসার করছে।”