নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার জয়জয়কার, একদিকে ‘চন্দ্রযান ৩’-সফলতায় ISRO-বিজ্ঞানীর তালিকায় কৃতী বঙ্গসন্তানের জয়, অন্যদিকে জাতীয় স্তরে বাংলা ছবির নাম লেখানো, অর্থাৎ কালকক্ষ, ঝিল্লির জাতীয় পুরস্কার জয়। সব মিলিয়ে আমাদের দেশ মহান। আর এই সাফল্যের মধ্যেই গতকাল ঘোষিত হয়েছে বাংলার টেলিসম্মান অ্যাওয়ার্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে টেলিসম্মান অ্যাওয়ার্ড। যেখানে সম্মানিত করা হয়, সারা বছরের টেলিভিশনে অভিনীত সেরার সেরা কলাকুশলীদের। যাই হোক, গতকাল আজীবন স্বীকৃতি হিসেবে অভিনেতা নিমাই ঘোষ এবং মরণোত্তর সম্মান পেলেন প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। গত বছর ২০ নভেম্বর পৃথিবীকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা।
দুইবার ক্যান্সারকে হারিয়েও জিততে পারলেন না অভিনেত্রী। শেষমেশ মৃত্যুর কাছে হার মানতে হল অভিনেত্রীকে। টানা ২০ দিন হাসপাতালে লড়াইয়ের পর অবশেষে একাধিকবার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে বাবা-মা-দিদি-প্রেমিককে ফেলে চিরতরে বিদায় নেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। গতকাল তাঁকে মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে, টলিউডে তাঁর ক্ষতটা হয়তো কখনই ভরাট হবেনা। “মরণোত্তর কৃতি সম্মান নেওয়ার সময়” কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা। একই মঞ্চে পুরস্কৃত হয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরীও। অভিনেতাকে আগলেই বসেছিলেন ঐন্দ্রিলার মা। একটি সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রীর মা বলেন, “পুরস্কার নিয়ে একটুও ভাল লাগেনি। এটা কি বয়স মরণোত্তর সম্মান পাওয়ার বয়স আমার মেয়েটার? খুব কষ্ট হচ্ছে। এমন সম্মান তো মঞ্চে উঠে ওর ছেলে মেয়ের নিতে যাওয়ার কথা ওর বয়সকালে। সেখানে আমাদের নিতে হল। এই কষ্টটা যে কী করে কমবে, কিছুতেই বুঝতে পারছি না। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতার জবাব নেই।”
তবে পুরস্কার নিয়েই বহরমপুর ফিরে গিয়েছেন অভিনেত্রীর মা। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে যেন এখনও জড়িয়ে রয়েছে অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর নামটা। নিজের ভালোবাসা মানুষটি কে মৃত্যুর আগে কখনই কাঁধ ছাড়া করেননি অভিনেতা, প্রেমিকার মৃত্যুর কয়েক মাস পরে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এখন আবার অট্র জলসার ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন সব্যসাচী।